পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\e>न्द्धिन्द्ध ड>पeिदन তারপর নিজের ছোট কাপড়টি ছিড়ে কয়েকটি সুতো বার করলেন । সেই সূতোগুলি নাকের কাছে রেখে দেখলেন যেন একবার একগাছি সুতো নড়ছে, তারপর খানিক পরে আর একবার নড়ল । বাবাজির মুখে চোখে একটা প্ৰসন্নতার ভাব দেখা দিল । তিনি দেবেশের হাত দুখানি ধরে বুকের কাছে বসে স্থা ‘স্তে আস্তে সেই হাত দুখানি উঠিয়ে আবার নামাতে লেগে গেলেন । উপুড় হয়ে পড়ে দেবেশের মুখে ফু দিতে লাগলেন, প্রায় ১৫ মিনিটকাল এরূপ করলে, দেখা গেল, দেবেশের নিশ্বাস ধীরে ধীরে একটু বইছে ; তিনি কৃত্ৰিম ভাবে নিশ্বাস চালাইবার চেষ্টায় বিরত ক’লেন না । তার ও ১৫ মিনিট পরে দেখা গেল, দেবেশের চৈতহত্যু হয় নাই, কিন্তু সে দে জীবিত তৎসম্বন্ধে কোন সন্দেহ নাই । তখন বাবাজি আস্তে আস্তে দেবেশের গলায় চ ট ত বুলিয়ে দেখালেন, গলনালীর উপর গাড়ীর জোয়ালের মত যে এক খানি হাড় থাকে, তা একবারে টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙ্গে গড়ে । “কি শক্ত আঘাতই এই চাড়িটার উপর পড়েছিল । কারু, হাত 1 ক এত শক্ত হতে পারে, যে এই তাড়খানি তার চাপে ভেঙ্গে পড়তে পারে ? হৃদয়ে শের তাত কি চাষীদের হাতের চাইতেও শক্তি ৷” বা বাজি এবার কিছু ভাবিত হ’য়ে পড়লেন, দেবেশ বেচে উঠতে পাধে কিন্তু এই হাড়খানি জোড়া না দিলে তো অনাহারে এায় প্ৰাণ যাবে ! আতি তরল জিনিষ হয়ত কষ্টে খাওয়ান যেতে পারে, কিন্তু হাড়খানি যে ভাবে ভেঙ্গেছে—তাতে বড় জোর তিন দিন পর্য্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে, তারপর অনাহারে ও হৃদপিণ্ডের দুর্বলতায় মারা যাওয়ায় সম্ভব।” এবার বাবাজি বিমৰ্ষ হ’য়ে মাথায় ইহাত দিয়ে বসে পড়লেন । SOH