পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\9ਵਣਜ একবার মাত্র কাতরস্বরে অতি মৃদুভাবে বলেন “হায় দেখুলশ, এই আশঙ্কাই ত আমি তোমাকে বাগানটা বিক্রয় করতে বলেছিলেম ।” বিশ সেকেণ্ড কাল পৰ্যন্ত বাবাজি চুপ করে থেকে উঠে পড়ালেন, দক্ষিণ-দিকের জানালাটার দিকে দেবেশের মাথাটি আস্তে ঘরিয়ে নিয়ে দুইখানি ইট পাশাপাশি রেখে নিজের পরিঞ্চোয়ের কতকাংশ ও বহিৰ্ব্বাসটি খুলে ইট দুখানি মুড়ে বালিশের মত করলেন। তারপর পুনরায় নিশ্বাস পরীক্ষণ ক’রে দেখলেন এবং খানিকটা নাড়ী ধরে বসে রইলেন, এখন তঁর প্রতীতি হ’ল, দেবেশেব নিশ্বাস খুব সূক্ষ্মভাবে হ’লেও বেশ চলছে, ও নাড়ীটা যদিও মাঝে মাঝে পাওয়া যায় না, তবু বাহুমুলের দিকে খানিক খানিক ধিকি ধিকি বইছে। দেবেশের কাপড়ের খানিকটা ছিড়ে তা তার গায়ের উপর ঢাকা দিলেন এবং উত্তরের দিকের জানেলার একপাট বন্ধ কবে বাতিটা নিবিয়ে ফেলে বাহিরে এসে দরজাটা শিকল অ্যাটকিয়ে বন্ধ করলেন। তাবাপর অতি দ্রুত একটি রাস্তা ধোরে গিয়ে তিনি একটা প্ৰকাণ্ড বাড়ীর গেটের কাছে দাড়িয়ে, সঙ্গিন-হস্ত পাহারাওয়ালাকে বল্পেন “রাজাবাব বাড়ী আছেন ।” সেষ্ট পাহারাওয়ালার কাছে তকমা-পরা পোষাক আঁটা আরওকয়েকজন সেপাই ছিল, তারা কাছে ঘনিয়ে এসে বল্লে “রাজাবাবুর কাছে রাত্রি পৌণে দশটার সময় ভিক চাইতে এসেছ বুঝি ! আম্পৰ্দ্ধা ত কম নয় দেখছি ভিখারীর ।” একজন একটা সঙ্গীনের ডগাটা দিয়ে বাবাজির পেটে খোচা মারবার অভিনয় করে বল্পে, ভুড়িটা এখনই বায় করে ফেলব।” : বাবাজি বল্লেন, “আমি ভিখারী হলেও এখন ভিক চাইতে আসি নাই।---আমার তঁর সঙ্গে জরুরী কাজ আছে।” একটা দরোয়ান Soyo