পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\soitCogo vexico ৰলে, “রাজাবাবু সাড়ে নয়টার পর শুতে যান, এখন হয় তা ঘুমুচ্ছেন। তোমার যদি তেমন জরুরী কাজ থাকে। তবে এক ক্রোশ দূরে কায়েৎ পাড়ায় দেওয়ানজি থাকেন। --তার কাছে এস্তুেল দা ওগে, এই মাত্র তিনি রাজবাড়ী হ’তে চলে গেলেন।” আর আর দরোয়ানেরা বলে, “এই পাগল। { ভপারাটার সঙ্গে কি ৰকৃছিস।” রামলাল দরোয়ান তখন তামাক পাতায় গুড়ো ডান হাতে নিয়ে আর একহাতে খানিকটা চুন ফেলে দিয়ে খুব টিপতে টিপতে গান ধরলে-—“অস্কা তারে, বস্কা তারে, সুজন কষাই । হরিভজকের গণিকা তারে, তারে মীরাবাই । হরি চরণে মন লাগি রাহু।” এত কষ্ট সত্বেও সেই গান শুনে বাবাজির একবিন্দু ভক্তির অশ্র পড়ল। বাবাজি তবু দাড়িয়ে আছেন দেখে একটা তফমাপরা খোট্ট বল্লে, “ঐ যে তেতালার উপর ঘর দেখছি, সামনের দিকে বারাণ্ডা বড় বড় থাম, ঐ ঘরটায় রাজাবাবু থাকেন, এখন লাট সাহেব এলেও তিনি ওখান থেকে নামবেন না-ধাও ভাগ " বাবাজি সত্য সত্যই এবার ভোগে পড়লেন ; বুঝলেন এ মঠের মহান্তে: বাড়ী আসেন নি, যেখানে রাতদিন গরীব দুঃধীর জন্য দরজা খোলা থাকুবে । অথচ কিশোর রায়ের সঙ্গে দেখা না করলেই নয়, কি করে তা হ’তে পারে ? যে দিকে সেই বৃহৎ প্রাসাদের ত্রিতল গৃহের থামের পাশ হ’তে ইলেকটুকি আলো জলছে—তিনি সেইদিকে চলে গেলেন, দেখলেন ৭ ফিট্‌ ă প্ৰাচীর বাড়ীর চার দিকটা ঘিরে রেখেছে। তিনি কিশোর রায়ের শোবার ষর হইতে প্রাচীরের যে অংশটা অদূৰ্ববৰ্ত্তী,তথায় গিয়ে একটা বৃহত বাপীর জ্যোৎস্না বিধৌত সোপানাবলির উদ্ধে মাৰ্ব্বেলের চাতালে বসে পড়লেন, &Oܒ