পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\gets extC কর,“সৰ্ব্বং আত্মবশং সুখং”, তখন আমার মধ্যে কোন একটা মহাশক্তি যেন জেগে উঠে দুঃখগুলি তুচ্ছ করতে শিখিয়ে দিয়ে যায়।” । কিশোর রায় রেলওয়ে আফিস থেকে বৃন্দাবনে তার করলেন । মটরে তিনি যখন বাড়ীতে ফেরেন, তখন রাত্ৰি ১২ টা । জ্ঞানদায়িনী দেবী দেখলেন, তার স্বামীর মুখখানি যেন বর্ষনোস্থ্যত মেঘের মত। স্বামী সম্বন্ধে তার কোন কালেই কোন কৌতুহল ছিল না, কিন্তু আজ জিজ্ঞাসা না ক’রে থাকতে পেলেন না, “নোটপরা সেই বুড় । গায়কের সঙ্গে মটর ক'রে কোথায় গেছলে ? মুখ ভার ক’রে এসেছ কেন ?” কিশোর রায় বল্লেন, “সে কথার কি দরকার জ্ঞানদা ? আমার মুখ মলিন হ'য়েছে কি প্ৰসন্ন হয়েছে।--তা কি কখন ? তোমার দেখবার অবকাশ হয়েছে ?” জ্ঞানদায়িণী বিরক্তির ভাবে বল্লেন, “সৰ্প কথারই বেকিয়ে নিয়ে অর্থ করা ।” এই বলে পাশ ফিরে আর , কোন কথা না বলে শুয়ে রইলেন । কিশোৰু রায়ের চক্ষে জল এল।, তিনি চােখ মুছে ঘুমোতে চেষ্টা করতে লাগলেন। বাকী রাত্রিটুিকু বাবাজি দেবেশের শুশ্রুষা করেছেন, কখনও পূবের দিকের শার্শিটা খুলে দিয়েছেন আবার তা দিয়ে শীতল বায়ু যখন দেবেশের গা ছুয়েছে, তখন সেটি বন্ধ ক'রে পশ্চিমের খানিকটা খড়খড়ি খুলে, দেবেশের নিশ্বাস কেমন বইছে, হাত নাকের কাছে রেখে তা পরীক্ষা করেছেন। কখনও বুকের ওঠা-পড়ার শব্দ শুনেছেন। কখনও বা নাড়ী ধরে ধ্যানী, বা মত বসে রয়েছেন। একটা ষ্টেশনে নেমে সেপাইদের কাছ থেকে ষ্টোভ ও বালি নিয়ে এসে অতি যত্নে বালি তৈরী করে ফিডিংকাপ দিয়ে দেবেশের মুখে দিলেছেন । তা অধঃ করতে SSR