পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSRCss Stcss পরে রাস্তায় হাঁটুতে পারিস না। ঠিক যখন শুদ্ধ হয়ে যমুনায় স্নান করে বাড়ী ফিরুব-তখনই কি রোজ রোজ তোদের মুখ দেখতে হবে।” এক কথায় তারা যে কুকুর বেড়াল থেকে ৪ অধম, এইটে বুঝিয়ে দিয়েছি এবং তারা মলিন মুখে রাস্তা হতে সরে গিয়েছে, তখন মনে ভেবেছি আমি নিজের শুদ্ধতা কি অপূৰ্ব্ব বকমেই রক্ষা করতে পেরেছি! আমার প্রতি কৰ্ম্মেরই আমি গুণ আদিদার করতুম, কেউ যদি আমার সঙ্গন্ধে কোন মন্তবা প্ৰকাশ করেছে, আমনই তার মাথা হাতে কাটবাস্ত্ৰ উদ্যোগ করেছি ; কিন্তু আমি যে দিন-রাত তাদের দোষ কীৰ্ত্তন করেছি, তাতে তারা রাগ করতে পারে, এটি ভুলেও মনে হয়নি, কারণ আমি যে তাদের হিতের জন্য দশজনের কাছে তাদের অপরাধ ঘোষণা ক’রে লিঙ্গল দিচ্ছি—তাদের শোধরাবার উপায় করে দিচ্ছি । “এই ভাবে যখন আমার বয়স ৪০ শে এসে পৌছল, তখন যেন শুকনো লঙ্কার ন্যায়। মেজাজটা আরও তীব্র হয়ে উঠল, লোকে আমাকে দেখে ভয় করত। অামার শরীর বেশ বলিষ্ঠ ছিল, উপোস করে করে যদিও কতকটা ক্ষীণ হ’য়ে গেছেলেম, তবুও আমার হাড়গুলি খুব পুরু ছিল, আমার স্বাস্তা ও বেশ ছিল—তবে জীবনে কঠোরতা অবলম্বন করাতে এখন আব্ব স্কুলাঙ্গী ছিলেম না ।

  • সেদিন সন্ধ্যাকাল । আমাঢ়ে মেঘে আকাশ ছেয়ে ফেলেছে, ঘন কালো মেঘ মালার মধ্যে বিদ্যুৎ স্ফুরণ হচ্ছে। আমি তাড়াতাড়ি এক কলসী জল নিয়ে সমুনা হ’তে বাড়ী স্ক্রুিছি। সঙ্গিনীরা কেউ নাই,

আমি অনেক সময়ই তাদেব প্ৰতীক্ষা করতুিম না, কারণ আমার চরিত্রের গুণে লোকজন আমার নিকট ত’তে দুবে থাকুতেই যেন সোয়াস্তি বোধ করত, আমার আবার ভয় কিসের ? বর্ষণ সুরু So