পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७8>टिन्झन्छ ९टमtटव्Tl হয় নি, ঘোর গর্জন হচ্ছে। সন্ধ্যার আঁধার, যমুনার কালে জল, আকাশের ঘন ঘটা, পথে একাকী আমি,--এই সময় হঠাৎ মনে হ’ল কতকগুলি ছোটলোক দৌড়ে আমার পেছনে পেছনে ছুইছে । “মর, বেটারা আমার অাধারে ছুয়ে ফেলবে না কি ? যত ছোট লোক ! আমি খুব উঁচু গলায় ডেকে বল্লুম, “ক’বে তোরা ? আর কোন রাস্তা দিয়ে যা,’ আমার এ পথ মাড়াসনে । কিন্তু সে লোকগুলি আমার কথা শুনতে পেলে বলে বোপ হ’ল না, সন্ধ্যার আাধারে আমায় দেখতে পেলে বলে বোধ হ’ল না ; কারণ তারা ছুটে আমার কাছেই এসে পড়ল। ঘোর বিরক্তির সহিত আমি চেচিয়ে বলুম, “তোরা ডোম-পাড়ার মাতাল বুঝি, ত্রিদিব গোসাইয়ের কুঞ্জের কাছে থাকিস, আমি তাকে ব’লে এমন শাসন করব যে তোদের ঘর বাড়ী ভেঙ্গে বৃন্দাবন হৈ তে সরে যেতে হ’বে ।” O কিন্তু তারা একটুও ^ভয় পেলে না । তাদের • একজন এগিয়ে এসে জোর করে আমার কলসীটা ভেঙ্গে ফেলে এবং আমার মুখ চেপে ধরল। আর তিন চার জনে আমার হাত পা বেধে দৌড়িয়ে আমায় এ কোথায় নিয়ে চলি ? এরা তো ডোমপাড়ার মাতাল নয়। এরা ত্রিদিব গোসাইয়ের কুঞ্জের কাছে থাকে না । এদের একজনের মাথায় সেই ঘোর অন্ধকারে স্পষ্ট একটা সাদা টুপি দেখতে পেলেম। অ ধারের গায় পায়বার পালকের মত তা" যেন উড়ছে। আমি কখনও জী<’ন ভয় পায় নি ; এই অবস্থায় পড়ে কি করব, বুঝতে পারলুম না । হায়! আমার যমুনায়, স্নাত, উপবাস পুত শুদ্ধদেহ! রাগে ক্ষোভে আমি আগুনের মত হ’য়ে গেলাম। কিন্তু Без