পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুপাম্বেৱন্ম অনালো । মনে করতে পাচ্ছিন যে আমি সেই কমলা দেবী। ঘৃণা ও রাগে জর্জরিত হ’য়ে আমি চোখ বুজে। শু'য়ে আছি, মনে হ’ল যেন সত্যই আমি নরকে বাস কচ্ছি। “হঠাৎ দেখলেম, আমার শয্যাপার্শ্বে একখাসি দা । মুনিয়া কুলি রাত্রে সেটা হাতে ক’রে বসেছিল, যাবার সময় নিতে ভুলে গেছে। আমি গড়িয়ে গড়িয়ে সেই দা খানির নিকট গেলাম, এবং দাতের ফাঁকে দাখানি ধ’রে আস্তে আস্তে হাতের বাধনটা কাটুতে লাগলেম। দাখানি খুব ধারাল ছিল, প্রায় অৰ্দ্ধ ঘণ্টাকাল শরীরকে উল্টিয়ে, ঘুরিয়ে, বেঁকিয়ে, যে ক’রে হ’ক, দড়ির বঁাধনটা কেটে ফেলুম। হাত খোলা, এখন পায়ের বাধন কাটুতে কোন মুস্কিল হ’ল না। আর ৫ মিনিটের মধ্যে আমি দাড়িয়ে মুক্তির আনন্দ অনুভব করতে লাগলেম, আস্তে কুঁড়ে ঘর ত’তে বার হ’য়ে দেখলেম প্ৰায় ১৫সের ওজনের একটা পাথর, দোব। গোড়ায় পড়ে আছে। নিজ পরিধেয় শাড়ির অৰ্দ্ধেকখানি কেটে সেই পাথরটা তা দিয়ে কষে বাধলেম, তারপরে দুড়ি দিয়ে পাথরটা গলার সঙ্গে বেধে সেইভাবে নুয়ে হামাগুড়ি দিয়ে পুকুরের পাড়ে গেলুম-বড় পুকুর, রাত্ৰিতে বেশ । জোছনা, আমি গড়িয়ে গড়িয়ে পুকুরের ধাপগুলি পাড়ি দিয়ে জলের মধ্যে আস্তে প'ড়ে গেলাম। বোধ হয়। আর ৮১০ মিনিট পাবে জলের উপর একটা জায়গায় বুদবুদ দেখা দিয়েছিল, তখন আমার জীবন সাবাড়ি হ’য়ে- ছিল । SC