পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপরের অন্যালো দেবেশ বাবু ওস্তাদ লোক, অমনি সে গুলি দিয়ে কি করবেন, তার মাথায় খেললো। তিনি মতলব ঠিক ক’রে বল্লেন,-“আমার খুব কাজে লাগবে, কাকাবাবু, আভিগুলি পাঠিয়ে দেবেন।” তার পরদিন দেবেশ বাবু বাবাজিকে গিয়ে বল্লেন,--“আমি একা । পয়সা কড়ি এমন কিছু নাই যে বরাবর মজুম্ন রেখে সখি চালাতে পারি। আমার এত সাধের বাগানটি পশু পক্ষী এমন কি মনুযোেব হাত হতে রক্ষা করতে পারি, এরূপ সাধ্যও আমার নেই। সেদিন ঋতু-পুষ্পের কৃষ্ণের পীত ধড়াটা রস গয়লার গরুটা ছুটে এসে ছিড়ে ফেলে দিয়ে গেছে। মাঝে মাঝে মক্‌মলও খুরের ঘায়ে জখম হয়ে গেছে। তা ছাড়া দুষ্ট লোকে ইচ্ছে করে এসে বাগানের অনিষ্ট ক’রে যায়। সে দিন কে এসে ঝুমকা লাতাটা ছুরি দিয়ে কেটে চলে গেছে। আমার রাধারাণীর কানের ঝুমকা ফুল-আমার বুকের একখানি হাড় তুলে নিলে আমার এমন কষ্ট হ’ত না । 弘 বাবাজি—“আপনি আমায় কি আদেশ করেন ? বাগানের কাজে আমি আপনার সহায়তা করব ? তো,” বেশ আজ হতে সকল কাজেই আমায় পাবেন ।” {ያ “আপনি বৃদ্ধ, আপনাকে কি আমি শ্রমসাধ্য কাজে টেনে আনতে• পারি ? আপনার এর উপর একটু দৃষ্টি থাকলেই যথেষ্ট। আপনার ঘরখানি বাগানের কাছে, আপনি সেখান থেকে চোখ চেয়ে এই জমি টুকুর উপর একটু নজর দিলেই দুষ্ট লোকে ভয় পাবে। “আচ্ছা তাই হবে।” এত সংক্ষেপে, এত মৃদুভাবে বাবাজি এ কথাটি বল্লেন, দেবেশ বাবু ভাবলেন, এটা একটা কথার কথা হয়ে রইল মাত্র । কিন্তু বাবাজির ভক্তি DNR