পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\92tcs-s verteri ইহাতে কবিরাজের অন্য স্বাের্থ ছিল না—এ বুঝে তিনি চুপ ক’রে ছিলেন, বিশেষ যখন পথের কঁাটা সরাবার কথা হ’য়েছিল- তখন - তিনি কথাটা যে তার নিতান্ত ইচ্ছার বিরুদ্ধ, তা’ কবিবাজকে বলবার অবকাশ পান নি, সুতরাং কবিরাজ তার সম্মতি পেয়েছেন, এটা মনে করা সম্ভব। কবিরাজের পরামর্শ নিয়ে তিনি প্ৰজা-পীড়ন ও খাজনা আদায়ের নানা উপায় উদ্ভাবন করেছেন। বৃদ্ধ তার সম্বন্ধে সকল খবরই রাখেন, এজন্য তিনি যাতে বিরক্ত হতে পারেন এমন কাৰ্য্য করতে হৃদয়েশের সাহসে কুলা'ত না । কিন্তু কুকাজের সঙ্গীর সঙ্গে ঠিক বন্ধুত্ব হয় না, কোন একটা জায়গায় পাধে, বিশেষ যদি এক পক্ষের মন রাহুগ্ৰস্ত চন্দ্রের ন্যায় পাপ চিন্তা ত’তে একটু একটু মুক্তি পাবার পথ খুজে বেড়ায়। হৃদয়ের্শের মানব সেই অবস্থা হয়েছিল—সুতরাং ভেতরে ভেতরে কবিরাজের প্রদ • গঠ{য় ঘূণার ভাল m পুষ্ট হ’তেছিল। দেবেশের হত্যা সম্বন্ধে একমাত্র কবিরাজকেই তিনি সকল কথা নিৰ্ভয়ে ব’লে মনের ভারটা লঘু করতে পারতেন। কিন্তু দেবেশ তার ছোট ভাই, হত্যাটা হঠাৎ হ’য়ে গেছে, তিনি তাকে মেরে ফেলবার ইচ্ছা কোন কালেই মনে পোষণ করেন নাই । এ সকল কথা কবিরাজকে বলতে তার প্রবৃত্তি হ’ল না । কবুলখাকে ডেকে এনে হৃদয়েশ অনেক রকম কায়দা ক’রে অ্যাসল কথাটা বার করবার চেষ্টা কল্লেন, কিন্তু সে কিছুই বলে না। --তার সেই একই কথা, রাজাকে নিয়ে সাবল দিয়ে ৰোষেদে বা জঙ্গলে গৰ্ত্ত করে মৃত দেহটা। তারা দু ভাই পুতে ফেলেছে । আমার জন প্রাণী তা জানতে পারে নাই। কোনো দিক দিয়ে হৃদয়েশ এই ঘটনাটার কোন অর্থ করতে পারলেন না । কিন্তু একটা কথায় তার মনে কতকটা সোয়াস্তি এল । SR o NSO