পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুপাক্সেৰ रटपi८ठन কুল আছে, তা কত কষ্ট ক’রে পেড়ে এনে আমায় দেয় ! কাটায় পিটে আঁচড় লেগছে,কিন্তু তবু হাসিমুখে বড় বড় কুলগুলি আমায় দিয়ে যায়। ওই যে বেণী, সে তো খুব ভাল পোষাক প'রে আসে, তার বাপ হচ্ছেন জজ,কিন্তু সে আমায় ঐক্লািপ ভালবাসুক তো ? --ইস। বেণী ভাবী রাগী, তার বাপ সদর ওয়ালা, এই বড়াই সে সৰ্ব্বদা করে। আর ঐ ছেলেটি ষে জুতো পরে না,-ও এমনই কাব্দ কঁাদ সুরে ওর মা-বাবার যে পয়সা নেই, রোজ দুসন্ধ্যে খেতে পায় না,তা বলে,যে ওর কথা শুনলে ওকে বড় ভালবাসতে ইচ্ছা হয়,বাবা । আমি একদিন বালুম-“তুই এত রোগ কেন ? পেট ভ’রে দুধ খেতে পারিস না, খুব জোর হবে।” তা শুনে বল্পে কি “ভােতই পাই না, আর দুধ পাব কোথায় ?” তাই শুনে আমার এত দুঃখ হ’ল যে কাল হতে দুধ খাওয়ার সময় আমার কান্না পেয়েছে। বেণীটা বলে কিনা,-“যা তুই চলে যা, আমাদের সঙ্গে খেলতে পাবিনা ।” এই বলে তার কঁাধের কাছটা ধরে তাকে তাড়িয়ে দিচ্ছিল । আমি তাকে আদর করে ধরে নিয়ে var ” এই সকল শুনে হৃদয়েশ অবাক হয়ে গেলেন। ছেলেকে কি বলবেন, ঠিক করতে পারলেন না । অবশেষে যেন জোর করে ভাঙ্গা গলায় বল্লেন,-“ও গরিবদের সঙ্গে যেতে নাই, লোকে দেখলে কি বলবে । ছেড়া কাপড় পরা, জুতো নাই, রাস্তার কুড়ানো ছেলেগুলির সঙ্গে খেলা করা ভাল নয়।” “তবে কি বেণীর সঙ্গে খেলিব ? ওর সঙ্গে থাকুলে যে আমি খারাপ হ’য়ে যাব । ও তার বড় ভাইয়ের বাক্স থেকে হাভেন চুরুট এনে আমাদের বলছিল “তোরা খাবি?” মা তো চুরুটখেকো ছেলে দেখলে আমায় কখনই তার কাছে যেতে দেন না । বাবা, তুমিত ওদের কাপড় জুতো কিনে দিলেই পারি, তবেই ত আর ওরা ময়লা কাপড় প’রে মলিন মুখ ক’রে আসবে না। ভাল কাপড় জুতো পরে এলে তো তোমার কোন আপত্তি Ss