পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুপাল্লেৰ ফিরছে—এমন সময় দপ্তরখানার পাশে একটি আধ बनी ভদ্রািঘরের মেয়ে ও একটি বৃদ্ধ বামুনকে দেখতে পেল। বুড় অতি বিমৰ্ষ, পায়ে তালতলার ছেড়া চটি, একখানি খাটাে ময়লা ধূতি, তা জানুর উপরে, হাতে একগাছ লাঠি। দীলোকটি মোটা একখানি কালো - পেড়ে শাড়ী পরে-ঘোমটা টেনে দোরের পাশে দাড়িয়ে আছেন। এমন সময় পাইক-সর্দার সঙ্গে ক’রে রাজনারায়ণবাবু এলেন। তাকে দেখে স্ত্রীলোকটি ‘ঘোমটা য়ু মুখ ঢেকে কান্দতে লাগলেন-“আর চারিটি দিন আমায় থাকতে দিন, বড় ছেলেটি ১৯ দিন জারে ভুগছে।--তার জরটা ছাড়লে যাব, এ অবস্থায় তাকে কি ক’রে বাড়ীর পার করব।-- আর কোথায়ই বা যাব ?” বুড় বামুন বল্লেন, “নায়েব-বাবু আপনি কায়েত, আপনার পায়ে ধরলে অকল্যাণে হ'বে—নতুবা ধরত্নম। সাত পুরুষের ভিটে, ছোট ছেলে মেয়ে নিয়ে কোথায় ঘাই-—ত যখন যেতে হবে, Tাব। বড় ছেলে জারে পড়ে আছে- শুধু ভাড় কখানি মাছেএকটু ভাল হ’লে যাব। পরেশ ডাক্তার বলেছেন, বুধবার ২১ দিন, সেই দিন জর ছাড়বে। আমনি দেখে, আমরা ভিজিট দিতে পারি না ।” কোচার খুটি খুলে বুড় চক্ষু মুছলেন। রাজনারায়ণবাবু ভুরু দুটি উৰ্দ্ধদিকে টেনে, কপাল কুঁচকে —বিরক্তির সুরে বল্লেন, “কালই সকালে বাড়ী ছাড়তে তাদে, ও সকল কথা শুনলে আর কাজ চলে না। কাল প্যায়দারা যাবে-তাদের হাতে অপমান হয়ে বেরুতে হবে, ভাল চাও তাে আজ রাত্রে ছেলে পিলে নিয়ে সরে যাও । কেন বাবু, তোমার এক ভাই তো চুচড়ো কালেক্টরিতে মুহুরীগিরি কৰ্ম্ম করে-তার ওখানে চলে যাও না ।” বুড় বল্লেন, “তা যদি সে স্থান দিত, তবে আপনার কাছে আস্তুম না, শ্যালকেরা ও তার এক খুড়-শ্বাশুড়ী তাকে ঘিরে রেখেছে—সেখানে আমাদের যাবার উপায় নেই।” SR.S\&o