পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপারেঃ রমেশ তার বাবার দিকে ছল ছল চক্ষে একবার চেয়ে চলে গেল। তার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে, হৃদয়েশ বাহির বাড়ী থেকে অন্দরমহলে যাচ্ছিলেন। রমেশের প্রাণে যে খুব আঘাত লেগেছে, এটি তিনি বুঝতে পেরে দুঃখিত হ’য়ে ছিলেন । হৃদয়েশের হৃদয়ে মায়া মমতা ছিল-এ পযােন্ত তা গুপ্ত ছিল, কিন্তু রমেশ শিশু হ'লেও তার অপরিসীম মেহগুণে তা জাগিয়ে তুলেছে। এ পৰ্যন্ত কত লোককেই ত তিনি ভিটে ছাড়া করেছেন, নিজের সহোদর দেবেশও বাদ পড়ে নি, কিন্তু আজ রমেশকে অগ্ৰাহ করে-সে চলে যাওয়ার পর-তীর মনে হ’ল শিশুরা প্ৰাণে লেগেছে !-কাদি কঁাদ হ’য়ে চ’লে গেল !” তার মনটা অনেকটা কোমল হ’য়েছে—এমন সময় অন্দরের পথে -লাইব্রেরীর ঘরে তিনি দেখতে পেলেন, অতি দুঃখিত হ’য়ে রমেশ ব'সে আছে-সে। সেই অবধি আর ভেতর বাড়ীতে যায় নাই, জলপাবারের সময় চলে গেছে।--তার মুখখানি শুকনো, নিশ্চয়ই কিছু থায় নি। চোখ দুটি লাল-—খুব কেঁদেছে, তিনি বুঝতে পারলেন। তাকে ডেকে আদর করে কাছে আনলেন, দেবেশকে যে তিনি ভিটে ছাড়া করেছেন—এই মনে পড়ে বড় কষ্ট হ’ল। তিনি রমে শের হাত ধরে পুনরায় বার ঘরে এসে রাজনারায়ণকে ডেকে পাঠালেন। তাকে জিজ্ঞাসা কল্পেন—“রাম চাটুৰ্য্যের দেনা কত ?” “আজ্ঞে ২৫০২ নিয়ে ছিল এখন, সুন্দ শুদ্ধ হয়েছে সাতশত একুশ টাকা চার আনা, তারপর মামলা ও ডিক্রিজারীর খরচ ৫১২ টাকা --মোট ৭৭২৷০ ” “সে কত দিতে পারে ?”- “আজ্ঞে মাত্র তিনশ দশ টাকা জোগাড় করে এনে ছিল, তার SRSbro