পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুপাৰেৱম্বর আমাকেন। কবিরাজকে ভোরের বেলা তদাবস্থায় দেখে লোক জনেরা গাড়ী করে নিয়ে এল-পাকা হাতের ব্যাণ্ডেজ, দুই সপ্তাহের মধ্যে ঘা শুকিয়ে গেল। তিনি বড় একটা পাগড়ী মাথায় পরে কাটা কাণ দুটো ঢেকে রাখতেন, কিন্তু ফুলশূন্য বেঁটার মত ডগহীন নাকের বাকীটা লোক দৃষ্টির বিষয়ীভূত হ’য়ে থাকত। বালকেরা তাকে দেখে ছড়া বেঁধে গাইত :- “পাগড়ীতে তো কাটা কাণ ঢাকা বেশ হ’ল । রাগ হ’লে বউ তোমার মলবে কি डाई ব’ল ? কি মলবে হে কবরেজ ? নাকটি তোমার কাটা । রাগ হ’লে বউ তোমার পিঠে মারবে ঝাটা ।” নাক কাটার পর কবিরাজের সুরাটা একটু অনুনাসিক হ’য়েছিল, তিনি সেই সুরে ছোড়াগুলিকে গাল দিতে থাকতেন। কিন্তু এত বড় মামলাবাজ লোক কোনরূপেই তার এই দুৰ্গতিকারীদের সন্ধান করতে পারলেন না । সন্দেহ করে পুলিসকে যার উপর খুন্সী লেলিয়ে দেন, পুলিস কোন প্রমাণ না পেয়ে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। তখন “আমার বোধ হচ্ছে, সেই গাড়ীতে ঐ লোকটাই বাবু সেজে বসেছিল” নাকীসুরে এই বলে আর কোন লোকের নাম করেন । পুলিস এই ভাবে হায়রান হয়ে গেল । একদিন আবার “বোধ হচ্ছে” বলতে ইনেস্পেকটর উপেন ঘোষ রোগে উঠে বল্পে “বোধ হচ্ছে টচ্ছে” বলে আমরা আর ধরন না, প্ৰমাণ চাই, কবরেজ ম’শয়।” যে দিন কবিরাজ সেই উৎকট অবস্থায় বাড়ী ফিরেছিলেন, সেই দিন কায়স্থ পরিবারের ডাক্তার-বাবু মিস্ত্রী লাগিয়ে পিল্পে হঠাইয়া দিতে নিযুক্ত ছিলেন । তঁকে বাধা দেওয়ার কেউ তখন ছিল ! না । কবিরাজ আর দুটি বছর মাত্র জীবিত ছিলেন। . NA A SASAG