পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( NObvo ) এর মধ্যে একদিন রমেশ দেখলে, তাদের বাড়ীর কুৎখানায় একটা লোককে ধরে পাইক তিনজন খুব প্রহর দিচ্ছে। লোকটা খাজনা দিতে পারে নাই, তাকৃে চিৎকবে শুইয়ে একটা পাইক বুকের উপর বসেছে, আর একজনে তার আঙ্গুলে ছচ ফুটােচ্ছে, অন্যহারের দরুণ তার উদরটা খোলের মত পড়ে আছে। সে কথা বলতে পাচ্ছে না, গো গো কচ্ছে, তার চোখের নীচটায় মাঝের দাগ নীল হয়ে আছে, একটা নেংটি পরে আছে । রমেশ দেখলে লোকটা মারা যাবে । তার মাথাটা ঘুরে গোল, সে ছুটে মেয়ে তার বাবার পায়ে পড়ে চীৎকার করে বল্লে, “বালা রক্ষা করি, রক্ষা কর” আর কিছু বলতে পারলে না, তার কচি হয়। গ্ৰ দুখানি হৃদয়ে শের পায়ের উপর রেখে অজ্ঞান হ’য়ে পড়ল। “কি হয়েছে, হয়েছে কি” বলে প্রদায়েশ ও উপস্থিত ব্যক্তিরা ব্যগ্ৰ হ’য়ে জিজ্ঞাসা করাতে তারা জানতে পারলেন, কুংখানার সদরালি প্ৰজাকে পাইকের মারছে, রমেশ তাই দেখে এসেছে । হৃদয়েশ তখনই পাইক গুলিকে তাকে ছেড়ে দিতে, "আদেশ দিয়ে ছেলের শুশ্রীষায় মনোনিবেশ করলেন, আধা ঘণ্টাৰ্ধ মধ্যে চৈতন্য হ’ল না। দেখে সিন্দুর৩লার রামতরি ডাক্তারকে ডাকতে পাঠালেন, এবং চাচড়ার ফ্রান্সিস সাহেব সিবিল সার্জনকে তার কল্লেন । বামহরি ডাক্তার এম, ডি, তিনি পরীক্ষা করে বলেন “খুব জ্বর হয়েছে, জ্ঞান af, brain fever "ct (Cal মনে হয়,কোথাও কি ভয় পেয়েছিল ? যা হ’ক, ডাক্তার সাহেব আসুন, তঁর সঙ্গে একত্ৰ হ’য়ে চিকিৎসা করব।” মাথায় Ice bag লাগিয়ে ফিডিং কাপ দিয়ে মাঝে মাঝে হারলিক খ্যা ওয়ার ব্যবস্থা করে তিনি চলে গেলেন। SPRŠO