পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 9 ) আভগুলি দেবেশ তীর আত্মীয়ের উপদেশমত পরিষ্কার করেছেন। তিনিও তঁহার ১১ বৎসরের পুত্ৰ শ্যামলেশ স্নাতদিন পরিশ্রম করে সে গুলি ঝকঝকে করেছেন। সেগুলি বাগানে নেওয়া হয় নাই, পাছে বাবাজি আবার তার জন্য অতিরিক্ত থাটেন। আভিগুলি ২০ কিঞ্চি চওড়া ১৫ ইঞ্চি লম্বা ক’রৈ এক একগ্লানি টুকরা প্ৰস্তুত হয়েছে, জোড়া দিয়ে ” সেগুলি খুব শক্ত করা হয়েছে। বেশ পুরু আয়নার মত সেগুলি ८छेकमशे श्रश्नCछ । তারপর দেবেশ সেই আভের ভিতর কাগজের ছবি লাগিয়ে তার উপর ফের আভি দিয়ে ছবিগুলিকে ঠিক আয়নার ভেতরকার ছবির মত দেখতে ক’রে ফেলেছে। এই ছবির একটা ইতিহাস আছে। দেবেশের বড় ভাই হৃদয়েশকে তঁদের নিঃসন্তান ধনবান খুল্লতাত পোষ্যপুত্ৰ গ্ৰহণ করেছিলেন। দেবেশ পৈত্রিক একখানি তিন কামরা এক তল গুহ, রাধামাধবের সেবা ও একটি ছোট দেব মন্দির এবং আটবিঘা জমি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন। তা ছাড়া একটা জাম ছিল তা তাব পিতাই গ্রামবাসী মথুরামণ্ডলকে পত্তনি দিয়েছিলেন। মথুরুমণ্ডল প্রতি বৎসর সপ্তমী পূজার দিন ঘড়ির কঁাটার মত নিয়মিতরূপে দেবেণবাবুকে তার দরুণ ৩০০২ টাকা খাজনা দিয়ে যেত। সুতরাং এই পাঁচিশ টাকা আয়ের উপর নির্ভর ক’রেই প্ৰথম প্ৰথম পৃষ্ঠাদের সংসার বড় কষ্টে চলছিল, কারণ রাধামাধবের সেবায় দেবেশ অনেকটা বেশী খরচ করে ফেলতেন। তুলসীদেবীর গিল্পীপণায় সংসারট কোনরূপে লজ্জা সংবরণ ক’রে এতকাল টিকে ছিল । সম্প্রতি “নবন। বৃন্দাবনের” দর্শনী রাৎসরিক প্রায় চারশত টাকা বেড়ে গেছিল। কিন্তু এই SNO