পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( go এই সুখ কিশোর রায়কে বেশী দিন ভোগ করতে হ'ল না,- পত্নীর সঙ্গ তার কাছে এতই অমূল্য বোধ চ’ত, যে কোন দিন র্তা খুইয়ে ফেলেন, সৰ্ব্বদা এই আশঙ্কা তার মনে হ’ত। তখনও তার শরীর অসুস্থ ছিল। প্ৰথম মিলনের উত্তেজনায় শরীরটা যে ক্রমে আরও খারাপের দিকে চলছে, তা তার জ্ঞানই ছিল না । কাশি তি লেগেই ছিল, তার সঙ্গে সন্ধ্যার পর একটু একটু স্বর হতে সুরু क८ कििळ । জম্বরটা যখন ক্রমে বেড়ে চল্প, তখন পত্নী সহ কিশোর রায় সিন্দুরতলায় ফিরে এলেন । কলিকাতার বড় বড় সাহেব ডাঞ্জাব ও কবি রাজ এসে একবাক্যে বল্লেন—যক্ষ্মা হয়েছে, তবে পুব খাব প রকমের নয়, এখনও সারুবার আশা আছে। তারা উপদেশ দিলেন, অন্ততঃ দু। বছরের জন্য পত্নীকে বাপের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেওয়া দরকার ! র্তারা বল্লেন “এ বাড়ীতে রেখে ইনি যদি বিদেশে যান, সেটিও ঠিক হবে না, মাঝে মাঝে দেশে আসতে হবে! একবারে ছাড়াছাড়ি থাকা দরকার।” কিশোর রায়ের দিদিমা ছিলেন, তিনি বল্লেন, “শীগগির একটা ভাল দিন দেখে বউমাকে নওয়াপাড়ায় পাঠাতেই হবে । এর বাপ ভরত তর্করত্ন আজ তিন বছর মারা গেছেন - সে বাড়ীতে কতকগুলি বিধবা আছেন, তা যা’ হোক, এখান থেকে লোকজন পাঠিয়ে সেখানে যাতে আমাদের সম্মান রেখে থাকতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতেই হ’বে।” দেওয়ান শ্যামসুন্দর ঘোষ তদ্রুপ ব্যবস্থা করতে আদিষ্ট হলেন । SRNSCG