পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপাক্সোন্ন जटापटिङा, এই সংবাদ কিশোর রায়ের কানের কাছে তীরের মত চলে গেল এবং প্ৰাণটাকে যেন এ পার ও পার বিঁধে ফেল্পে । বিদায়ের সময় জ্ঞানদার দুটি সজল চোখের যে চাউমি দিয়ে গিয়েছিল তা” স্মৃতির সম্বল ক’রে, তার বাড়ী ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিশোর রায় ঔষধপত্র নিয়ে কাশীতে, রওনা হ’য়ে গেলেন। রোজ দশাশ্বমেধ ঘাটের কাছে সন্ধ্যা বেলা এসে বসতেন । সর্বস্বাস্ত হ’য়ে বণিক যেমন ক্ষিপ্তের মত ঘুরে বেড়ায় তাৰ দশা তেমনই হ’ল । জ্ঞানদার চিঠি পাওয়াই এখন তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হ’য়ে দাঁড়াল। সারাদিন তার কাছে চিঠি লিখতে কেটে যায় ! প্ৰথম প্রথম জ্ঞানদার উত্তৰগুলিও স্বামীর চিঠির মত দীর্ঘ হ’ত, কিন্তু শেষে আট পাতার উত্তরে তিনি আট ছাত্র পেয়ে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে বিছানায় শুয়ে পড়তেন। তারপর জ্ঞানদা দুখানি চিঠি পেয়ে অতি সংক্ষেপে একখানি চিঠিতে উত্তর দিতেন ; একখানি চিঠিতে লিখলেন “তোমার শরীর খারাপ, এরূপ r1ম্বা চিঠি লিখলে পরিশ্রান্ত হ’য়ে পড়বে।” কিশোর রাস্ত্ৰ ভাবলেন, “তোমার আদর্শনের দুঃখ চিঠি লিখলে কমে যায়-সেইটুকু যেন মিলনের আনন্দে কেটে যায়, চিঠিতে সেগুলি না। লিখলে যে তা আমার মনকে অভিভূত ক’রে ফেলে।” জ্ঞানদার , ঔদাসীন্য কিশোর রায়ের পীড়া বাড়িয়ে ফেল্পে, এখন তার জর রোজই হয়। বিকালের দিকে জর খুব বাড়ে এবং শেষ রাত্রে যে ঘাম হয়, ত’তে মনে হয় যেন শরীরের রক্ত হিম হ’য়ে যাচ্ছে । ডাক্তারেরা বল্লেন, “এর এ যাত্রা রক্ষা পাওয়া কঠিন ।” এই সময় কাশীতে এক সাধু তিল-ভাণ্ডেশ্বরের গলি ছাড়িয়ে খোলা মাঠে একটি অন্নসত্র খুললেন—বহু গরীব দুঃখী সেখানে খাবার পেতে লাগল। SRSSNYo