পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ՅS ) Φ কিশোর রায় সাধুর ঔষধ খাবেন কি না- এটি নিয়ে খানিকটা চিন্তা করলেন। একবার ভাব লেন “ঔষধ মেডিকেল কলেজে রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠিয়ে দি, আবার ভাবলেন, “সুরুতেই যদি সাধুকে অবিশ্বাস করুলুম,তবে তঁর ঔষধ আনলুম কেন?”সেই রাত্রে বড় জর হ’ল। পরদিন যখন ডাক পিয়ন নানা পত্র ও জমিদাবী সংক্রান্ত দলিলপত্র, যা” তঁার দস্তখতের জন্য সিন্দূরতলা হ’তে দেওয়ানজী পাঠিয়ে ছিলেন, সেইগুলি দিয়ে চলে যায়, তখন তিনি “আর কিছু আছে ?” ব’লে ই ক’রে প্রতীক্ষার ভাবে তাকিয়ে ছিলেন । কিন্তু ‘আর কিছু নেই” ব’লে পিয়ন চলে গেল। তিনি দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে ভাবলেন-“মরি মরুব, তাতে কার কি হবে ? বাবা ত’ নেই।” এই ভেবে সেই ঔধধটি বার কল্লেন-এবং তা” তিন ভাগে বিভক্ত ক’রে নিকটবৰ্ত্তী ভৃত্যকে বল্লেনু—“কাল সকালে ঐ ছোট বাটীটার অৰ্দ্ধেকটা শিশিরে ভরে রাখিস।” পরদিন প্ৰভাতে উঠে সেই শিশিরে বাট শেকড়টুকু খেয়ে মনে ভাবলেন, “যদি এটা বিষ হয়—তবে একঘণ্টার মধ্যেই টের পাব। কিন্তু ত বড় সাধু কেন আমায় বিষ দেবেন ?" একঘণ্টার মধ্যে শরীরটা বেশ হান্ধা হ’য়ে গেল, এবং সে দিন অপরাহে জ্বর এল না । তিন দিন ঔষধ খেয়ে কিশোর রায় বেশ সুস্থ হ’য়েছেন-সাধুর সঙ্গে তিনি গোপনে দেখা ক’রে পরিচয় দিলেন- এবং “আপনি আমার জীবন-দাতা” বলে তঁরা পায়ে লুঠিয়ে পড়ে বল্পেন-“আপনার মঠের জন্য কি কিছু অর্থসাহায্য আমি ক’বুতে পারি ?” SR3o