পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SDBBDBBB BD DD DD BDBDD S DDDBD BB DBBD SDDD লাখ টাকা । দরকার হ’লে তোমার কাছে চাইব । আমি বৃন্দাবনে ফিরে চলম। তুমি এখন বাড়ী ফিরে যাও, দরকার হ’লে আমার সঙ্গে দেখা কোরে । বলা নিম্প্রয়োজন এই সাধুই হচ্ছেন কানাই বাবা । প্ৰায় দু’টি বছর পরে সিন্দুর তলায় ফিরে এসে কিশোর রায় জ্ঞানদায়িনীকে চিঠি লিখলেন—তাকে আনতে পাঠাবেন কি না ? উত্তরে তিনি লিখলেন, তঁার এক সম্পর্কে পিসতুত ভাইয়ের বিয়ে মাঘ মাসের শেষে, সুতরাং এই দেড়মাস কাল তঁকে পিত্ৰালয়ে থাকতে দিলে তিনি বড় সুখী হন । পত্ৰখানি পড়ে কিশোর রায়ের চোখে জল এল। “এই দুই বছব সারারাত্ৰি কেঁদে কেঁদে যাকে দেখবার জন্য লালায়িত হ’য়ে আছি, যাকে দেখবার জন্য আমি পৃথিবীর আর সমস্ত সুখ ছেড়ে দিতে পারি, দূর সম্পৰ্কীয় পিস্তুত ভাইয়ের বিয়ের জন্য দু'মাস সে আমায় দেখা দেবে না, এই দুই মাস নে আমার কাছে দু'টি বছরের মত দীর্ঘ হ’বে ।” জ্ঞানদার চিঠিগুলি এখন প্ৰায়ই শুকনো, যেন দায়ে পড়ে লেখাকিশোর রায় কত আগ্রহে চিঠি লিখেন, আর তার উত্তরগুলি যেন বরফের রাজ্য হ’তে ঠাণ্ডা হ’য়ে আসে। তথাপি কিশোর তাতে যতটা রস আরোপ করে অর্থ স্নেহ-সুচক ক’রতে পারেন—তা’ করেন। দু'টি মাস কিশোর রায়ের বুকে দাগ দিয়ে চলে গেল, তারপর আনবার প্রস্তাব ক’রে চিঠি লেখা হ’ল। এবার জ্ঞানদার মাতা লিখলেন, “জ্ঞানদার শরীরটা তত ভাল নয়, দুঢ়ে দিন আরও মায়ের কাছে রাখলে ক্ষতি কি ?” CV) R3