পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপরের जटापोCव्न কিশোর রায় যখন কলেজে পড়তেন, তখন অনেক সহপাঠী বন্ধুদের সাহিত তাদের স্ত্রীদের ব্যবহারের বিষয় জেনেছিলেন। একজনের নিকট শুনেছিলেন,- কলেজের ছুটি ফুরোবার সময় হ’লে স্ত্রী বিমর্ষ হ’য়ে থাকতেন ; দু একটা দিন বেশী থাকতে অনুরোধ ক’রে স্বামীর হাতে ধ’রে তা’ নয়নাসারে সিক্ত করতেন, কত আদর ক'রে পান সেজে স্বামীর মুখে দিয়ে প্ৰসাদ প্ৰাৰ্থী হ’য়ে কাছে ঘেসে আসতেন ; নিজ হাতে খাবার নিয়ে স্বামীর কাছে দাড়িয়ে থাকতেন, আপরে নিয়ে এলে অসন্তুষ্ট হ’তেন। তঁদের একজনেরঃকপালের সিন্দূরের একটি রেখা একটা ছেলে মুছে ফেলেছিল, তাতে তিনি সারা দিনটা কেঁদে কাটিয়ে ছিলেন। স্বামী পড়তে বসলে তঁার চেয়ারের উপাব বুকে পড়ে আদরের সহিত দুই একটা কথা ব’লে “এখন তোমার পড়া নষ্ট করব না। -এই দুটি ঘণ্টা বুক বেঁধে থাকব” বলে হেসে চলে যেতেন। কত বার মুখ ফিরিয়ে স্বামীকে দেখে মুচকে হ্রাসতে হাসতে চলে যেতেন। “দোহাই তোমার-আমায় আমার নামটা ইংরেজীতে লিখতে শেখাও” এই বলার ছলে স্বামীর করকমল স্পর্শ ক’রে, সেই হাত খানিতে কলম দিয়ে, প্রিয় শিক্ষকটিকে ছাত্রীর প্রতি মনোযোগী হ’তে অনুরোধ করতেন ; অনুরোধ রক্ষিত না হ’লে কত ভাবে বিরক্ত ক’রে হয়রাণ ক’রে ছাড়তেন ; কোন সময় লিখবার মুখে কলমটি নিয়ে ছুটে পালাতেন, কোন সময়ে প্রয়োজনীয় খাতার চারদিকে আঁচড় কাটতে থাকতেন, কোন দিন ফুল ছুড়ে মুখে মারতেন, কোন দিন নিজের সিন্দুরকৌটা থেকে সিন্দুর নিয়ে স্বামীর পায়ে পরিয়ে সেই পায় কপাল ঠেকিয়ে কপালটি সিন্দুর-ময় ক’রে ছাড়তেন ; পড়ায় বাধা দিতেন না-কিন্তু যখন স্বামী বই খুলে ঘুমের ঘোরে চক্ষু বুজে তুলতে থাকতেন, তখন আস্তে বই খানি নিয়ে এসে বিছানায় ব’সে পরীক্ষাত্রী ছাত্রের ন্যায় বড় বড় সুরে SR33