পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NSeset Verftes টেনে দুই দিকে এক দুই দিন করে লিখতে লাগলেন। যদি তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়, তবে সে আরও খারাপ হবে, শেষে কি কষ্ট পাৰে-তার ঠিকানা নেই, হয়ত রাস্ত ঘাটে ভিক্ষা ক'রে প্রাণ যাৰে। লোক লজ্জার চুড়ান্তু হ’ৰে, মা বাবার বাড়ী পৰ্য্যন্ত তার মানা হ’য়ে যাবে, হয় তা অপমৃত্যুতে মরূবে, না হয় গলায় দড়ি দেবে, কত কুলোকের চক্ৰে প’ড়ে সৰ্ব্বস্বান্ত হ’য়ে কেঁদে কেঁদে চোখের জলে পথ দেখাবে না—এই পথের পরিণাম যা’ তা’ হ’তে কেউ তো মুক্তি পায় নি। আমার প্রাণের প্রাণ জ্ঞানদা, আমার যুকের হাড় জ্ঞানদা, আমি শেয়াল কুকুরের মত বাড়ী হতে দূর করে এই পথে পাঠাব। তার কষ্টের কথা শুনে কি করে ধৈৰ্য্য ধ’রে থাকব ?” এই পৰ্য্যন্ত লিখে আবার দরদর চােখেৰ জল পড়ে তার লেখাগুলি মুছে যেতে লাগল। তিনি হাত দিয়ে বুক চেপে ধ’রে ঘন ঘন নিশ্বাস ফেলে আবার লিখতে লাগলেন। “জ্ঞানদা। যে পথে গিয়েছে সে পথ হ’তে তাকে ফেরান কঠিন। তার ইচ্ছা থাকলেও সে পারবে না । আর আমি তাকে সরল বিশ্বাসের চক্ষে দেখতে পারব না। আমার সন্দেহ ছায়ার ন্যায়। তার পাছে পাছে ফিরবে। প্রথম হয় ত অনুতপ্ত হ’য়ে সে কত দিন চুপ ক’রে থাকবে, কিন্তু তার পরে সে কথার উত্তর দিতে শিখবে, হয় ত কোন জায়গায় আমার সন্দেহ সত্য হবে।-কোেন জায়গার মিথ্যা সন্দেহ ক’রে বস্ব, তাতে ঝগড়া ঝাটি হ’বে । জ্ঞানদা আমায় ভালবাসে না-এখন তো তার হৃদয় পাবার আশা আমার পক্ষে আকাশ-কুসুম-এই দ্বন্দ্ব কলহে সংসারিক সুখ হ’বে না, ছেলেপিলে হ’লে নানারূপ অশান্তি আসবে। তারা ও পিতামাতার পরস্পরের প্রতি ভাবান্তর দেখে কোন দিনই এ সংসারে সুখী হ’তে পারবে না । এ কথা ঢাকা থাকবে না । বদিও আমি প্ৰকাশ না SRCEO