পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপরের আমলে সেদিকে যাওয়া নিরাপদ নয়-বীরভূম অঞ্চলটাতে দেখবার মতন অনেক জিনিষ আছে-সেখানেও আমাদের জমিদারী আছে।” “দেওয়ান, আমি মগড়াতে যাব।” “সেখানে যেতে হ’লে অনেক পাইক লস্কর নিয়ে যেতে হবে, মারামারি হওয়ার বিশেষ সম্ভাবনা । তারা, বড়ই দুৰ্দান্ত প্ৰজা। রাজাবাবু এখন অন্যত্র গিয়ে শেষে গোলমাল মিটুলেও তথায় যেতে *igसन ।।” “না, শ্যামসুন্দর বাবু, আমি সেইখানে যাব। লোকজন অন্যত্র গেলে যেরূপ-তেমনই দেবেন।--বেশী নেওয়ার প্রয়োজন নেই।” রাজাবাবু প্রথম জমিদারীতে যাবেন, খুব ধুম ধামে সাজ সজ্জা হ’ল। বঁাশ বেড়িয়ার ওদিকে ও তীর অনেক তালুক ছিল। রেলওয়েত্বে সেইখানে এসে কাচারীতে এলেন, দু' চারদিন পরে তথা হ’তে মগড়া যাবেন, এই স্থির করলেন। রাজাবাবু এসেছেন খবর পেয়ে প্রজারা তাকে অভ্যর্থনা করবার জন্য একত্ৰ হ’ল। তারা দুদিন পূর্বেই খবর পেয়েছিল। পুরানা ধরণের লোক, যে জমিতে তারা বাস করে তার মালিককে দেখা তাদের বড়: একটা সৌভাগের বিষয় মনে করে। ষ্টেশন হ’তে রাজাবাবু যেতে লাগলেন, দুধারে লোকের ভয়ানক ভিড়, তাদের একহাতে নিশান, আর একহাতে মশাল, কারণ তখন সন্ধ্যা হ’য়ে ছিল। গ্রামে ও চতুস্পার্শে মূহুমূহ জয়ধ্বনি ও বাজনার শব্দ হ'তে লাগল ; কত লাল কাল টুপি পরা মুসলমান ছুটে এসেছে, কামার কুমার সদৌগাপ তাদের মধ্যে ব্ৰাহ্মণ কায়স্থও আছেন, কুলবধুর লঙ্গা ছেড়ে দিয়ে ঘোমটায় মুখখানির অৰ্দ্ধেক ঢেকে রাজদর্শনে এসেছেন, তঁাদের কপালে বড় বড় সিন্দূরের ফোটা । লাল নীল পতাকা মশালের আলোতে বড় বড় প্ৰজাপতির মত SROO.