পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখা যাচ্ছে। স্ত্রীলোক, পুরুষ, লিঙ্ক, যুবক ও বৃদ্ধের্ম মহামিলন ; গ্ৰামণ্ডলি যেন ভেঙ্গে পড়েছে। রাজাবাবুর পান্ধী যেখানে, সে দিকে বহু মশালের আলো, কারণ সকলেই তার, মুখখনি দেখে পূণ্য অর্জন করতে চাচ্ছে। এদিকে একটি খাল পার হ’য়ে রাণীপুকুর গ্রাম হ’তে শত শত লোক খেয়া নৌকায় আসছে। নৌকাখানি লোক পদ ভরে ডুবু ডুৰু। কাছারী বাড়ীর দরজায় বঁাশবেড়ের কুমারের হাতের সুন্দর, কারুকাৰ্য্য খচিত, বড় বড় কুন্ত জলে পোরা, তাদের গায়ে সিন্দুর মাখা ও উপরে আম্র পল্লব জড়িত নারিকেল ফল । নায়েব শীতল বাড়ুৰ্য্যে রাজাবাবুকে সঙ্গে করে নিয়ে এলেন, তখন গ্রামের মোড়ল রাসবিহারী সরকার পনের হাজার সােতশতের টাকা এনে রাজাবাবুর পায়ের কাছে রাখলে, উহা তথাকার প্রজাদের নজর । ঐ তল্লাটের আয় ৫৫ হাজার টাকা । এর মধ্যে প্রায় ৭০ বছরের এক বুড়ো ভিড় ঠেলে তথায় আসতে বিষম ব্যগ্ৰতা দেখালে ; রাজাবাবু, তার জন্য একটু পথ করতে বলেন । আমনি বহুলোক তাকে একটা বলের মত হাতে হাতে নিয়ে রাজাবাবুর কাছে উপস্থিত করলে । বুড়ো রাজাবাবুর পায়ের কাছে প’ড়ে হাউ মাউ ক’রে কঁদতে লেগে গেল, তার একটিও দাত নেই, পরিধান একখানি শতছিন্ন খাটো কাপড়, আর একটা ন্যাকড়া মাথায় পাগড়ীর মত জড়ানো । বুড়ো-কঁদতে কঁাদিতে সেই ছেড়া কাপড় খানির কোচার খািট হতে বহু চেষ্টায় একটি গেরো খুল্লে, কারণ সেই চেষ্টায় তার হাতের আঙ্গুল গুলি ক্রমাগত কঁপিছিল। সেই গেরো খুলে সে একটি আধুলি ও একটি সিকি ৰার ক’রে জমিদারের পায়ের কাছে রেখে বলে, “বহুকষ্টে এই ৮৭০ আনা জোগাড় করতে পেরেছি, আজ আমার চক্ষু দুটি ধন্য, সারাটা । জীবন, বাবা তোমার পথের দিকে চেয়ে কাটিয়ে দিয়েছি। আমাদের SQCSNyo ಫ್ಲಿ'