পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপারেন্দ্ৰৱ অনালে ‘আর তিনি, নওয়াপাড়াটাই জগতের একটি মাত্ৰ স্থান মনে ক’রে দিনরাত তাই ভাবছেন, এ পাপের প্রায়শ্চিত্ত কি ? হানিফ সেখ। শেষে বয়ে “তুমি আমাদের বাপ, আমরা তোমার ব্যাটা, আমাদের এই যে সব , দুঃখ তা দূর কর বাবা, আমাদের এই এনীয়েবের হাত হ’তে উদ্ধার কর” তখন সকলগুলি প্রক্ষণ একত্ৰ হ’য়ে রাজা বাবুর পায়ে ধরে কান্দুতে লাগল, কুঁড়ে ঘরের দাওয়ায় ও দরজার পাশ থেকে, রূপার বেশির নাকে ও রূপার কণ্ঠী গলায় ঈলোকেরা অশ্রুসিক্ত চক্ষে দাড়িয়ে দেখতে লাগল। রাজাবাবু বল্লেন, “তোরা ‘আমার ছেলে, যখন সকলে একসঙ্গে এক কথা বলছিস্ তখন জুলুম অবশ্য হ’য়েছে । আমি এ নায়েবকে অবশ্য রাখবেন।” এই বলে পকেট বুক হ’তে একটুকুর। কাগজ ছিড়ে তাতে . লাল নীল পেন্সিল দিয়ে নায়েবকে লিখলেন “শাঁঠি ছি, এখানে চলে আসবে, সঙ্গে দুইএকজন লোক নিয়ে এস।” সেই চিঠি খানি নিয়ে আবদুল জব্বর চলে গেল, এবং আধা ঘণ্টা পরে না য়েবকে ও লোক লস্কর নিয়ে হানিফ সেখের বাড়ীতে ফিরে এল। রাজাবাবু বল্লেন--“লাচিড়ি, তুমি আমার কি টাকা . ভঙ্গেছ, প্রজাদের কাছ থেকে জুলুম ক’রে কি নিয়েছ, সে সকল আমি শুনতে চাইনা, সমস্ত প্ৰজারা তোমার অত্যাচারের কথা বলছে- তোমার মুখের কতকগুলি মিথ্যা কৈফিয়ৎ শোনবার মত আমার সময় নেই । তোমাৰ আজ হ’তে ছুটি । তোমার বাড়ী নৈহাটি, তুমি আজই সেখানে চলে যাও । যদি শুনতে পাই, তুমি আর একটি দিন মগড়ার ধাৰে কাছে আছতবে তোমাকে শাস্তি দেওয়ার যে সকল আইন-সঙ্গত উপায় আছে, তা অবলম্বন করব, সেটা তোমার পক্ষে গুরুতর হবে।” শশী লাহিড়ী তার জমিদারকে একদিনেই চিনে ফেলেছিল--তিনি SQINyo\So