পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 94 ) এরপর তিনি সিন্দূরতলায় ফিরে এলেন। বাড়ী এসে তিনি কয়েকদিন স্বপ্নাবিষ্ট্রের ন্যায় ছিলেন, প্রজাদের অভাব অভিযোগ কোথায় কি কি, তাদের কি ক’রে অবস্থার উন্নতি হ’তে পারে, কি ক’রে তাদের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার হ'বে, নিজ সেরেস্তায় "প্ৰত্যেক জায়গার লোকদের চিঠিপত্র ঘেটে ঘেটে এ্যামসুন্দর ঘোষের সঙ্গে সেই পরামর্শ করতে লাগলেন। এর মধ্যে একদিন মাধব মুখুয্যে নওয়াপাড়া হ’তে ফিরে এসেছে। সে রাজাবাবুর সরকারের একজন কৰ্ম্মচারী, অপর কয়েকজনের সঙ্গে তাহার ও নওয়াপাড়ায় থাকার আদেশ হ’য়েছিল। রাজাবাবু বৈঠকখানায় একা বসে আছেন, এমন সময়ে মাধব এ সে তাকৈ নমস্কার করলে। মাধবকে দেখে রাজাবাবুর মন অধীব ও ‘য়ে উঠল, কোন অজানা রাজ্যের হাওয়া এসে যেন গায়ে পড়ল। তিনি কোন প্রশ্নের উত্তর করতে সাহসী না হ’য়ে শুধু তার দিকে বাকল ভাবে তাকিয়ে রইলেন । মাধব তাকে প্ৰণাম ক'রে বল্লে-রাণীমার মা প্ৰাণদা দেবী তাকে পাঠিয়ে দিয়েছেন।--ত শুহায়ণ মাস পড়েছে। “রাণীমায়ের কাশ্মীরি শাল ও গায়ের কাপড়গুলিব বাক্সটা আমার সঙ্গে দিতে বলেছেন ।” রাজবাড়ীর খবর কি, কে কি রকম আছেন, তা ও দেখে যেয়ে তাকে বলতে বলেছেন। “হুজুবের আদেশ হ’লে “আমি কালই চলে शद ।” ভয়ে ভয়ে অনেকটা লজ্জা ও হৃদয়ের আবেগ বাহ্যিক সংবরণ SR Noa