পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপারেীর আলো প্ৰহার ক’রে তিনি নির্জন এক প্ৰকোষ্ঠে বসে কঁদতে शऊन । সেই ঝির কথিত কাহিনী এত উৎকট ও ঘূণ্য ছিল, যে তিনি বিষয়টি যতই ভাবতে লাগলেন, ততই উত্তেজিত ভাবে নানারূপ উপায় মনে মনে উদ্ভাবন করতে চেষ্টা পেলেন, কি করে তঁাব এত সাধের পত্নীকে হীনতা ত’তে উদ্ধার করবেন। জ্ঞানদা এখন নিশ্চয় বুঝলেন, তার স্বামীকে মিথ্যা কথা বলে আর প্রবঞ্চনা ক’বৃতে পারবেন না। তিমি সকল কথা জেনে ফেলেছেন, তখন তিনি অত্যন্ত চতুরতার সহিত গুহের সকলের নিকট স্বামীর অত্যাচারের কথা অত্যন্ত বাড়িয়ে ব’লতে সুর ক’রে দিলেন এবং প্রায়ই চোখের জল ফেলে নানারূপ মিথ্যা কথা বলে তিনি যে সাধবী তার প্রমাণ দিতে লাগলেন। কিন্তু চারিদিক হ’তে গৃহের সকলে যখন রাজা বাবুকে এজন্য নিন্দ করতে লাগল এবং তিনি এরূপ কেন কচ্ছেন, আত্মীয়েরা তার কৈফিয়ৎ চাইতে সুরু ক’রে দিলেন, তখন তিনি তার স্ত্রীর চরিত্র সম্বন্ধে কোন কথাই বল্লেন না, বরং ছোট কাল হ’তে আব্দার পেয়ে যে তঁার একটু খামখেয়ালী ধরণের মেজাজ হ’য়েছে—এই কথাই আভাসে বুঝালেন ; তার নিজের সম্বন্ধে যে যা” বলুক। তা’ তিনি হাসি মুখে সচয়ে নেবেন-কিন্তু জ্ঞানদা সম্বন্ধে বাইরের লোকে যদি কিছু বলে তা’ তিনি কিছুতেই সইতে পারবেন না । t জ্ঞানদা এখন বুঝতে পারলেন- তার স্বামী কিছুতেই তা’কে ছাড়তে পারবেন না । সুতরাং তিনি অত্যন্ত প্ৰশ্রিত হ’য়ে উঠলেন, এমন কি পরের মুখে শুনে স্বামীর ভালবাসা সম্বন্ধেও তার মুখের উপর কঠোর মন্তব্য প্ৰকাশ ক’রতে লাগলেন । কিশোর রায় তাকে কিছুমাত্র ও ভালবাসেন না,- এই ছিল তার ধ্রুব ধারণা । নিজের মন প্রেমশূন্য হ’লে আমরা এইরূপ ভাবেই পরের বিচার ক’রে থাকি । NQgyrc9