পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७ङaeन्द्धन्व स्ट पब्लिाँ জ্ঞানদার দুইটি পরিচারিকা ছিল। তাদের তিনি অনেক টাকা দিয়ে বশীভূত ক’রেছিলেন। তারা প্যাচার মত রাজ-বাড়ীর লক্ষ্মী ঠাকরুণের গুপ্ত উদ্দেশ্যের সহায়তা করত । এই সকল ব্যাপারে। জ্ঞানদায়িনী এতই নিপুণতা অর্জন করেছিলেন, সে তিনি সাধারণত সাধবী স্ত্রী বলেই সকলের নিকট খ্যাতি লাভ করেছিলেন । এইরূপ ভাবে কিশোর রায়ের দিন কাটতে লাগল। কখনও তিনি বৈঠকখানা হলের জানেল খুলে বহুদূরে গরু গুলির সহিত রাখালদেৱে দেখতেন এবং মনে মনে করিতেন, “হায় সমস্ত জমিদারী ছেড়ে দিয়ে যদি আমি ঐ সাওতাল রাখালদের একজনের মত প্ৰফুল্ল চিত্তে বঁাশী বাজাতে পারতুম!” কখনও রাজ-বাড়ীর অতি কুৎসিত বিকটি-দস্ত রমা বুড়ীকে দেখে ভাবতেন, যদি আমার বিবাহ এর সঙ্গে হ’ত, তবে বুঝি আমি প্ৰকৃত দাম্পত্য সুখ বুঝতে পারতুম, এ আমাকে ছাড়া নিশ্চশই আর কারুর প্ৰতি অনুরাগী হ’ত না ।” একদিন জ্ঞানদায়িনীর ব্যবহারে নিতান্ত ক্ষুঃ ক’য়ে প্রকৃতই তার সংসারের প্রতি বিরাগ উপস্থিত হ’ল। “আর এই সৌন্দর্যোর কালকূট আমি পান ক’রতে পারি না, আর এই রূপের নরক-কুণ্ডে আমি বাস ক’বুতে পারব না- মরুতে বসেছিলেম মৰ্ত্তম, কেন একে ইচ্ছাব বিরুদ্ধে ডেকে আনলুম। এই বাড়ীর ছেলেরা কি দুৰ্ভাগ্য! আমার এই হীন-প্ৰকৃতিপুরুষের অযোগ্য সহিষ্ণুতার দরুণই সমস্ত অনর্থ খটেছে-—এ বাধ আমি छिन्न क'बूद्ध ।” এই নিদারুণ অবস্থা-চক্ৰে পড়ে তিনি যে কত ? কেঁদেরছেন, কত রাত্ৰি অনিদ্রায় কাটিয়েছেন, কতদিন খেতে বসে চোখের জল ফেলে ভাতের থালা ফেলে উঠে গেছেন-আত্মহত্যার সংকল্প পৰ্য্যন্ত ক’রেছেন—সকল বস্থা মনে হ’ল, তখন মনে ব্যাকুলভাবে আশ্রয় খুজতে লাগল। “কে আছে . Srby'S