পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৩ ) সেই আভিগুলির ছবির কথা লিখছি। খুব মোটা তুলিতে দেবেশবাবু, পুরু কাগজের উপর সমস্ত কৃষ্ণ লীলাটি একে ফেলেছেন। কোনটিতে কারাগারে কংস ভ্ৰকুট ক’রে কোন নবজাত কস্তাকে এক আছাড়ি মাস্ত্ৰছেন ; কোনটিতে নন্দ শিশু-কৃষ্ণকে ক্রোড়ে নিয়ে কারাগারের দ্বারের কাছে দাড়িয়ে। প্রহরীগুলি ঘুমে ঢালে পড়ছে। তাদের কোষ-সংলগ্ন খুড়াগ গুলিকেও যেন ঘুমের নেশায় পেয়েছে, তারাও যেন প্রাচীরের গায়ে ঢ’লে পড়ছে ; নন্দ এক হাতে দ্বার স্পর্শ করছেন লৌহের এক পাটি দ্বার শ্লথ হয়ে খুলে পড়েছে। তারপর পুতনা স্বীয় স্তনেৰ মধ্যে শিশু কৃষ্ণের মুখ জোর করে লাগিয়ে দিচ্ছে। আকাশে ঘূর্ণবায়ুর উপর এক বিকট রাক্ষসের টিকি ধরে কৃষ্ণ র্তাকে লাটিমের মত ঘুরোচ্ছেন। কত বৃক্ষলতা সে ঘূর্ণিতে উলট পালট হয়ে উড়ে যাচ্ছে। তণাবৰ্ত্ত ও তারই কৃত ঝড় তুফানের মধ্যে কৃষ্ণের ধাকা খেয়ে সেই সকল গাছের মতই ঘুরপাক থাচ্ছে। নীচে ব্ৰজবাসীরা কেহ বুকে হাত দিয়ে, কেহ বিস্ফারিত চক্ষে, কেহ শ্ৰীবা বাড়িয়ে, উদ্ধে সেই দৃশ্য দেখে কৃষ্ণের জন্য ভয়-ব্যাকুল হয়ে আছে। কোনটিতে একটি ক্ষুদ্রকায় বকের চন্ধু সুদীর্ঘ হয়ে বৃন্দাবনের প্রায় অৰ্দ্ধেক জুড়ে কৃষ্ণকে গ্ৰাস করতে বিস্তারিত হয়েছে, ধনুকের ভিতর শরা যে ভাবে থাকে, সেই দুই সুদীর্ঘ চন্ধুর একটিরও উপর পা দিয়ে আর একটিকে ডান হাত দিয়ে ধ'রে কৃষ্ণ সেই ভাবে বকাসুরকে বধ করবার চেষ্টা করছেন। কোথাও কৃষ্ণ কালিয়। হ্রদে ঝাপ দিয়ে পড়ছেন ; তঁার নীল কালো অঙ্গ জ্যোতিও কালীয় হ্রদের নীল কালো জল-যেন দুই-ই এক হয়ে মিশে যাচ্ছে। কৃষ্ণের জলে SN2