পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপার্কের আলো গান পরিসমাপ্তির স্তব্ধতা খানিকক্ষণ শ্ৰোতৃবৰ্গকে সেই eiद भ6न মেঘ নিনাদিত অম্বর তলে পালঙ্কে শায়িতা রাধিকার বিবাহ কথায় বিমূঢ় ও মুগ্ধ ক’রে রাখল। এর মধ্যে বাবাজি হঠাৎ উঠে কিশোর রায়কে আলিঙ্গনে বদ্ধ ক’রে রাখলেন। কিশোর রায় বল্লেন্স “বাবাজি কি চিনতে পেরেছেন ? যার জীবন একদা রক্ষা করেছিলেন, আজ এই নয় বছর পরে তাকে দেখে চিনতে পেরেছেন ?” “তা আর পারি না, ভালতো ? মুখ খানি শুকনো কেন ভাই ? শরীরটা আবার বডড রোগ দেখছি, কেমন আছ ভাই!” সেই স্নেহের সুরে আবার কিশোরের কণ্ঠম্বর কেঁপে উঠলো। তিনি বলেন “ভাল থাকলে কি আর ঘর ছেড়ে এতদূর অসি ? আমাদের ভক্তিত বিপদের পেছন পেছন ফেরে। যখন সুখে থাকি, তখন যে ভুলে থাকি ৷” বাবাজি আদর করে তঁাকে কাছে রেখে অপরাপর অতিথির সঙ্গে ভদ্রভাবে কথা ব’লে তঁদের ও কিশোর রায়ের আহারের ব্যবস্থা ক’রে দিলেন। তারা আহারান্তে বিশ্রাম করতে গেলেন, তখন রাত্রি ৯টা । বাবাজি বলেন, “কিশোর আবার কি যক্ষ্মার সূচনা হ’য়েছে ? যে সন্ন্যাসী আমার ঔষধটি দিয়েছিলেন, তিনি তো বলেছিলেন ঔষধ শিশিরে বেটে তিন বার পেতে । চতুর্থবাবের কথা তিনি ত বলেন নি। যারা খেয়েছেন তাদের তো আর এ রোগ হয় নি ।” “সে রোগ আমার আর হয় নি।” “তবে কি চ’য়েছে বল ? আমি তোমার হিতের জন্য যা” সাধ্যি তা” ক’রব ।” , “আপনার কি সময় আছে ? আমি কতকগুলি কথা বলব!” “যথেষ্ট সময় আছে-সারাটা রাত পড়ে আছে। তুমি কিছু খেয়েছ। SRGS3