পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩০৭

vSets atter -কিশোর রায় প্ৰতি দিনই এই আধ ক্রোশ হেঁটে এসে সন্ধ্যার পরই আহার করেন এবং ৯টার পর শয়ন গৃহে যান। সেদিন অপরাইটায় শয়ন ঘরে সোপনেয়ারেব যৌন সম্বন্ধ বিষয়ক লেখাগুলি পড়ছিলেন। উক্ত দার্শনিক পুরুষের বহু বিবাহের সমর্থন করেছেন। কিশোর রায় সেই যুক্তির অনুকূল ও প্রতিকূল অনেক বিষয়ই চিন্তা কচ্ছেন। দার্শনিক তো কাঠ খোট্টার ন্যায় কতকগুলি যুক্তি দিয়েছেন, তার মধ্যে রস মাত্র নষ্ট । এবং দম্পতির হৃদয় ব’লে যে একটা জিনিষ আছে সেটি তিনি কল্পনার মধ্যেই আনেন নাই। যে স্বামী ত্বার স্ত্রীকে ভালবাসেন, তিনি কি ক’রে অন্য একজনের পাণিগ্রহণ করতে পারেন ? তীয় সমস্ত প্ৰকৃতি যে বিদ্রোহী হ’য়ে যাবে-এটা যে তার পক্ষে একবারেই অসম্ভব। সোপনেয়ার এই দিকটা মোটেই লক্ষ্য করেন নাই। জড়বিজ্ঞানের फारेन काश्नई भानन औदनब वकभांज निश्डा भान करबदछन। একজনের প্রতি অনুরাগ, এক-ব্ৰত, এটি কি মানুষ কৃত্রিম ভাবে অর্জন করেছে ?-একি স্বভাব-গতি নয় ? একখানি ভেলভেট মােড়া ইজিচেয়ারে হৈলান দিয়ে তিনি ভাবছিলেন ; এমন সময় হাওয়ার উপর নেচে নেচে বেশ একটু বৃষ্টি এল। রাজপ্রাসাদের সংলগ্ন বৃহৎ একটি আমগাছেব পাতায় মৃদু টুপৰ টাপ শব্দ হ’তে লাগল-সোপেনেয়ারের দর্শন কিশোর রায়কে এই সুযোগে ভুলিরে ভুলিয়ে তন্দ্রর রাজ্যে নিয়ে এল, তিনি তঁার বৈকালিক ভ্রমণ ব্যাপারটার জন্য আর উদ্যোগ করতে পারলেন না। সহসা বারান্দার উপর দুটি স্ত্রীলোকের নাতি-উচ্চ কথাবাৰ্ত্তার সুরে তার ঘুম ভেঙ্গে গেল। জ্ঞানদায়িনীর দুই দাসী, রাধি ও মঙ্গলা কথাবার্তা কইছে, তারা অতি সংগোপনে কথা বলছে- অজ্ঞাতসাবে NSDON