পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ge vett ওঁর ইচ্ছার পথে আর দাড়াব না।” এই দৃঢ় সংকল্প মনে মনে স্থির রেখে রাজাবাবু সারাদিনটা যে সকল পল্লীতে ছাত্রবৃত্তি পাঠশালা স্থাপিত হয়েছে এবং যাদের, উত্তরোত্তর উন্নতি সম্বন্ধে তিনি নায়েবদের নিকট হ’তে সপ্তাহিক রিপোর্ট পাচ্ছিলেন, সেই সকল পল্লী-বিদ্যালয় সম্বন্ধে নানারূপ ব্যবস্থা করতেন। সিন্দূরতলায় অমরাবতী দেবী নামী একটি ব্ৰাহ্মণ বিধবা, অত্যন্ত বিদূষী ও শিক্ষিতা ছিলেন । তাৰ স্বামী তাকে নিয়ে বিলেত গিয়েছিলেন এবং বার বছর তর্পায় বাস করেন। অমরাবতী সেলাই, ও নানারূশ শিল্পকাৰ্য্যে বিচক্ষণতা লাভ করেন । দেশে ফিরে এসে দস্তুর মত টোলের পণ্ডিত রেখে তিনি উপনিষদ ও পুরান শিক্ষা করেন, ইহা ছাড়া ফ্রেন্স, জাবমান এবং ইংরাজী সাহিত্য ও ইতিহাসে তার বিশেষ বুৎপত্তি ছিল। তিনি দেশে আসার পর হিন্দু স্ত্রীর ন্যায় থাকতেন, অবরোধ প্রথা ও কতকটা মেনে চলতেন । র্তার স্বামীয় ইচ্ছা ছিল, এদেশের মহিলাদের শিক্ষাকাৰ্য্যে "অমরাবতী তার সমস্ত অধ্যবসায় প্রয়োগ করেন । হঠাৎ স্বামী মারা যা ওয়াতে তিনি এক বছর কাল একবারে অবলম্বন শূন্য চ’য়ে পড়েন এবং তার পরের বছর। আর একটা আঘাত বিধাতা তার হৃদয়েব উপর নিক্ষেপ করেন । তীর শিক্ষিত রূপসী ১২ বছরের একমাত্র কন্যা ইনফ্লুয়েঞ্জা হ’য়ে তিন চার দিনের মধ্যে প্ৰাণত্যাগ করেন । পাথর যে আঘাতে ধ’সে যায়, সেইরূপ দুইটি বজের আঘাত ক্ৰমান্বয়ে তার উপর পড়ে। তিনি এককালে খুব সুন্দরী ছিলেন, এখন সৌন্দর্য্যের চাইতে মহীয়সী গান্তীৰ্য্য ও একটা সৌম্য ভাব তার শরীরে বিস্তমান । তিনি ৫০ বছর পার z ’32 অমরাবতীর অনেক অর্থ ছিল, স্বামীর ইচ্ছা শিরোধাৰ্য্য ক’রে তিনি সিন্দুর তলার একটি মহিলা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করবেন, এই চিন্তা NSN).