পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 4 ) এদিকে হৃদয়েশের ভাবটা দেবেশের প্রতি ইদানী” বডই কোমলভাব ধারণ করেছে। এ পৰ্য্যন্ত তো ছোট ভাইটির সঙ্গে তার কোন পরিচয় আছে ইহাই বোঝা যায় নাই। বড় লোকের পোষ্য পুল্ল চয়ে তিনি ধরাকে সরা জ্ঞান করে এসেছেন । বুটাদার শিল্পের জামা পরে, দিব্যি মকমলী উপানহ পায়ে, টেরী বাগিয়ে, ফ্রেন্স ধরণে গোপ ছোেট, ঘাড়ের চুল ছোট ক’রে কেটে, ল্যাণ্ডে দৌড়িয়ে তিনি যাতায়াত করতেন। কখনও দেখাতেন বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে গামছায় বাধা তরিতরকারী, এক পয়সার, লাউয়ের ডাটা, দুপয়সার আলু হাতে দেবেশ খড়ম পারে বাজার ক’রে আসছেন। হৃদয়েশ র্তার দিকে ফিরে ও তাকতেন না । বাড়ীতে প্ৰায়ই থিয়েটার, বায়স্কোপ, কীৰ্ত্তন এ সকল ব্যাপারের ঘটা হোত, বিস্তু এক মায়ের পেটের ভাই বলে পাছে লোকে জানতে পাবে, এই আশঙ্কার ठिनि 6नैिंहिक धाश्लान করতেন না । বাপের আমলের তিন টাকা মুলোর ভোট কম্বল গায়ে দিয়ে যখন দেবেশ তার বাড়ীর কাছ দিয়ে যেতেন, তখন তার নিজের গায়ের বারশ টাকার কাশী বা শালখানির লাল পাড়টি পৰ্য্যন্ত যেন লজ্জায় স্নান হ'য়ে যেত। তিনি জানিলা বন্ধ ক’রে দিতেন । কিন্তু কয়েক দিন হ’ল দেবেশকে ডেকে তঁর দাদা বলেন, “দেবেশ তোর শীতের কাপড় কিছু নেই-এবার হাড়,ভাঙ্গা শীত পড়েছে, তুই আমার এই পুরণে শালখানা নে, এর জমি ঠিক আছে কোন জায়গা ছিড়ে যায়নি বা পোকায় কাটেনি, রংটা একটু ময়লা হয়েছে, SC&