পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( CeA ) কিশোর রায়ের চিঠি পেন্দ্ৰয় কানাই বাবাজি হরিদ্বারে এসেছেন। এক নির্জন প্রকোষ্ঠে কিশোর রায় কানাই বাবাজির হাঁটুর কাছে বসে চক্ষের জলে ভেসে যাচ্ছেন, তিনি বলছেন—“ঞ্জীবনে তিনটা দিন একে পেয়েছিলেম, সমস্ত জীবনের সাধনার ফল। এই তিনটা দিন । তিনি উ কি মেরে আমায় দেখেছিলেন, আমার পায়ের শব্দ শুনে কেঁদেছিলেন, আমার নিকট ক্ষমা চেয়েছিলেন । এই তিনটা দিন তিনি আমাকে চেয়েছিলেন, আমি এই তিনটি দিন তীকে পেয়েছিলুেম- | বিবাহের এই দীর্ঘ বিশ বছরের মধ্যে এই তিনটি দিন আমাদের রাজযোটক হ’য়েছিল-কিন্তু দেখতে দেখতে ফুরিয়ে গেল। এ পৃথিবীতে সুখ আছে,-সকলই ভেন্ধী নয়-এই কথাটা আমায় ভাল ক’রে বুঝাবার জন্য এই তিনটা দিন এসেছিল। আমার জীবনের খাতায় এই তিনটা দিন অতি অপূৰ্ব্ব । তিনি মরুবার সময় যা কিছু বলে গেছেন, প্ৰতোক কথা শেলের মত আমার বুকে বিধে আছে। তিনি বলে গেছেন—“আমার মত পতিতা বেঁচে থেকে যদি ভাল হতে চাইতে, তবে কোথায় তার সুবিধে পেত ?” সত্যই যদি কেউ পতিতা থাকেন, জীবনের ভুল যিনি বুঝতে পেরেছেন, তিনি কোথায় দাঁড়াকে ? তিনি ত জ্ঞানদার মত এমনই হতাশ হৃদয়ে মরণের প্রতীক্ষা করবেন। আমরা তো তার জন্য কোন দোর খুলে রাখি নাহি ।” “আমি মনে করেছি তাদের জন্য একটা আশ্রম করব। জ্ঞানদায়িনীর অন্তিমকালের এই দুঃখের প্রতিকার যতটা পাবি করব।” NSSS