পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\sets atter এই ব’লে শাল জোড়া, হাতে ক’রে দাদাকে প্ৰণাম করে দেবেশ । বাড়ীতে এলেন । কিন্তু দাদার এ সহানুভূতি সত্ত্বেও যেন তিনি তারা কথায় প্ৰত্যেকটি স্মরণ করে বেদনা বোধ করতে লাগলেন। সেই সকল কথায় তার প্রাণ জুড়ায় নি। বরং মনে একটা জ্বালার ভাল জাগিঙ্গে তুলেছে। দেবেশ ভাবলেন “আমারই মনটা কুটিল—দাদার মনটি সাদা, তাই অামার মনে তঁর সাদা কথাগুলির অর্থ কুটিল বোধ হচ্ছে ।” তুলসী দেবী বল্লেন, “এ যে ভাসুর ঠাকুরের শাল, এটা এনেছ কেন ?” দেবেশ সকল কথা বল্লেন। তুলসী দেবী একটু চিন্তান্বিত ভাবে বল্লেন, “আজি দিদি এখানে এসেছিলেন । পীপড়ার গর্তে হাতীব পা, কোন দিন তো তার এত দয়া দেখিনি। এই দেখ” বলে একখানি উৎকৃষ্ট শান্তিপুরে ধূতি, একখানি ঢাকুই চাদর, একটি রেশমী আলোয়ান ও একজোড়া সাহেবের দোকানে পাম্পসু দেরাজ থেকে বার ক’রে বল্লেন, “এই সকল দিদি শুঠামলেশের জন্য দিয়ে গেলেন, তার জন্য কত দুঃখ করলেন ; বল্লেন “এত বড় হয়েছে, স্কুলে দেওনি। মুর্থ হয়ে থাকুবে, চাযাদের সঙ্গে মিশছে, আমাদের মাথা হেট হয়।” আমি বল্লাম, “শ্যাম তার কানাইদার কাছে পড়ে ৷’’ শুনে ঠোঁট বেঁকিয়ে হেসেই অস্থির, বল্লেন, “এক বেটা ভিখারী বিষ্ঠাপতি নিতাই দাস, ক’রে রাস্তাঘাটে বেড়ায়, ইনি হচ্ছেন। শুষ্ঠামের স্কুল মাষ্টার । তোরা যে হাসালি!” খুব বড় বড় হীরার একজোড়া অনন্ত নূতন করেছেন তাই আমায় দেখালেন। শ্যামকে আদর ক'রে বলেন, “আমাদের বাড়ী যাস, কিন্তু তোর নেংটি পরে যেতে পারুবি না, আমি যে পোষাক দিলাম। এই পরে “মাস। আর ব'ল্লেন, “তোদের জন্য, বোন, আমরা কি করতে পারি, কৰ্ত্তা আর আমি তাই বসে বসে ভাবছি। শীঘ্ৰ ফলাফল জানতে পারুবি ।” O S