পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( Ե ) পরদিন গ্রামখানিতে একটা হুলস্থূল পড়ে গেল। জমিদার কিশোর রায় ইতিপূর্বে দেবেশের “নব বৃন্দাবন” দুই একদিন দেখে গেছেন। আজ তিনি সে পথে যেতে দেবেশকে দেখে পান্ধী থামালেন। বড় বড় ‘রূপার আশা ছোেটা হাতে চোপেদার গুলি স’রে দাঁড়াল। কিশোর রায় নেমে বাগানের দিকে গেলেন। একটা মালতির চারা নিয়ে বাবাজি তখন ব্যস্ত ছিলেন, তিনি ম্যাটটা খুব ভাল করে গুড়ো কছিলেন এবং মাঝে মাঝে ফুলের চারাটার ‘শেকড়ে একটু জল দিচ্ছিলেন। তখনও সেটা পােতা হয় নুই, বাবাজির ডানদিকে ভূয়ের উপর পড়ে ছিল। এমন সময় কিশোর রায় তঁরই কাছ দিয়ে ঘুরে ঘুরে বাগানের চমৎকার শোভা ও ছবির বহর দেখতে লাগলেন। এর মধ্যে হঠাৎ তার দৃষ্টি বাবাজির দিকে পড়ল। তিনি প্রথম তাকে মজুত্ব ভেবে তার দিকে তাকান নি, কিন্তু হঠাৎ তার মুখখানি দেখে বিমূঢ় ও বিহবলভাবে খানিকটা দাড়িয়ে রইলেন। তারপর এত বড় জমিদার শিশুর মতন আবেগ-কম্পিত কণ্ঠে “আপনি এখানে ?” ব’লে তার চরণতলে লুটিয়ে পড়লেন। বাবাজি তাকে আদর ক’রে ধ’রে উঠালেন-এবং বল্লেন “কর কি কিশোর ? লোকে দেখলে বলবে কি ? তুমি রাজা, আমি ফকির ; চল ঘৰে চল” এই বলে দুজনে বাবাজির ঘরখানিতে গেলেন এবং দরজা বন্ধ ক’বে দিলেন। দেবেশ স্তব্ধ হয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন, তারপরে কৌতুহল রাখতে না পেরে সরু বঁাশের বেড়ার ফাক দিয়ে দেখতে লাগলেন। তিনি যা দেখলেন তাতে তার বিস্ময়ের সীমা রইল না।, জমিদারেব দুই চক্ষু NSONQ