পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপাৱে আলো থাকে, শ্বেত চন্দনের ফোটায় মাধবের কপাল উজ্জ্বল 市 এবং সেই দুইখানি আনন্দময় অনিন্দ্য মুখের কাছে দেবেশের করস্তুত পঞ্চপ্রদীপ ঘুরতে থাকে, কিংবা চামর দুলতে থাকে, ধোয়ার মাঝে অসীমের সত্ব অৰ্দ্ধলুপ্ত হয়ে সীমাবদ্ধ হয়, সেইরূপ কেমন সুন্দর দেখায়! বাবাজি মানব্ৰত ত্যাগ করে গান করতেন ও শু্যামলেশ নাচত । পাড়ার গয়লাদের ছেলেরা হাততালি দিত। আরতি করতে করতে দেবেশ মাতালের মত টলতেন, তার পা দুখানিও যেন আনন্দ ভরে নাচতে থাকত, পঞ্চপ্রদীপের আলো দেবতাদের মুখ হ’তে প্ৰতিবিম্বিত হয়ে আরতি কারীর মুখ চোখের উপর পড়ত, তুলসীদেৱী তখন দরজার ফাঁক দিয়ে নিৰ্ণিমেষে সেই আরতির শোভা দেখতেন-আরতি দেখতেন কি দেবেশের মুখ দেখতেন ? তার দুটি চোখ ব্যাকুল হয়ে সেই মুখখানির উপর পড়ে থাকতো, যেন বাহা জ্ঞান লাপ্ত হ’ত। রাধামাধব-বিগ্রহেরকথা তঁর মনে থাকৃত না,-কেবল স্বামীর রূপ দেখে চক্ষু ভ’রে যেত, চােখে আনন্দাশ্রু দেখা দিত। একদিন বাবাজি তদাবস্থায় তুলসীদেবীর মুখখানি কপাটের আড়াল থেকে দেখে কেঁদে বলেছিলেন, “ভগবান ! তোমার দেখে আমার এমনই আনন্দ হোক, আমি আর কিছু চাইনা ।” দেবেণ। অবশ্যই বাবাজিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন-কিশোর রায়ের সঙ্গে তঁর পরিচয় কবে হয়েছে! বাবা জি. বল্লেন “সে অনেকদিন, কিন্তু এ সকল কথা আমি তোমায় কিছু বলব না।” দেবেশ তদবধি বাবাজিকে আর কোন কথা জিজ্ঞাসা করেন নাই ।