পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপারেন্দ্র আমলে হচ্ছেন অদ্বৈতবংশ মহাপ্ৰভু,-শাস্ত্ৰজ্ঞানে অদ্বিতীয়, এই বাঙ্গালাদেশে রোমো গোসাইয়ের নাম কেনা জানে ? এই নিরাধমের গুরু, বহুভাগ্যে এই কীটের প্রতি সদয় হ’য়ে মন্ত্র দিয়েছেন।” বাবাজি এই কথা শুনে গোসাইজির পায়ে হাত দিয়ে প্ৰণাম কল্পেন, এবং বল্লেন, “আপনি অদ্বৈতবংশীয়, যারা বৈষ্ণবের কণ্ঠী ধরেছেন—তাদের সকলের নমস্য ।” সাধু যখন গোসাঁইয়ের পায়ে হাত দিলেন, তখন তঁর মুখ চোখের ভাব ও মুষ্ট্ৰিটী যেমন হ’ল তা বৰ্ণনা করে যাচ্ছি। অহঙ্কারে তঁর স্থূলদেহ যেন আরও একটু ফোঁপে উঠল, পুরু দুইটি ঠোট একটু ফাক হ’য়ে বড় বড় কয়েকটি দাঁতের শোভা প্ৰকাশ করে দেপাল-সেটি মৃদু হাস্য কি চূড়ান্ত গৰ্ব্ব, কি “আহিলাদে আটখানা” অথবা এই সমস্ত ভাবেরই কিছু কিছু নিয়ে অধরান্তরালে দাতিকটি প্ৰকট করে দেখাল, তাহা ভাবিবার বিষয় ৰটে। ডান চোখে একটা তারা প্ৰায় এককোণে সরে যেয়ে শিষ্যবর্গের প্ৰতি যেন অপাঙ্গদৃষ্টি করে বলতে লাগিল—“দ্যাখ, আমি কত বড় লোক ৷” , বাম হাতে একটা নিস্যের বাক্স আনন্দের চোটে যেন হাত ছাড়া হয়ে মাটীতে পড়ে। আর, কি ? এবং গরদের, ধূতির কাছাটা যেন প্রকৃতই খুলে গেল। তার তুলসীর মালাটা বুকের কাছে দুলতে লাগল ও টিকিটা गवाश्रद्ध कैंbाद्ध भड (नाडा कुgन हैं।gान । গোসাইজি মনে ভাবছেন—“এত বড় সাধু,-কিশোর রায় পরামর্শ নেৰার জন্য যার খড়ো ঘরে এসে নিজে উপস্থিত হন, তিনি নিজে তার পায়ের ধূলো নিয়েছেন—সব শিষ্যগুলিতে দেখতে পেয়েছে ! আজিই কথাটা গ্রামের মধ্যে রাষ্ট্র হয়ে পড়ৰে । এই ভাবতে ভাবতে র্তাব মনে এত আনন্দ হ’ল যে গোসাইজি ৩৪ মিনিট কথা বলতে পারলেন না । । এর মধ্যে গোসাইজি প্রভৃতি অতিথি এসেছেন দেখে, পাড়াপাড়শী CO