পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sotoč3 vertot আপনি অমৃত-তুল্য বিষয়গুলি বৰ্ণনা করেছেন । আপনি বৈষ্ণব শাস্ত্রের রাজা, আপনাকে আর আমি কি বলব ! এই সকল কথা বলতে আপনার উৎসাহ কি বিপুল ! আপনার এ সম্বন্ধে যেন কিছুমাত্র ক্লান্তি নেই। ভগবান তার কথা বলতে আমায় এখন উদ্দীপনা কবে দেবেন ?” এতগুলি লোকের সামনে এইরূপ ভাবে বাবাজি কর্তৃক অভিনন্দিত হ’য়ে রেমে গোসাইয়ের দন্ত-পংক্তি আর কিছুতেই ঠোঁটেব আড়ালে থাকতে পারল না, তারা বের হয়েই রইল । পাওয়া দাওয়ার পর নিজ বাসা-বাড়ীতে ফিরে এসে গোসাঁই শিষ্যসেবকদের নিকট বল্লেন—“যদি প্রকৃত সাধু ব্যক্তি কেউ থাকে, তবে কানাই বাবাজি । শাস্ত্র ব্যাখ্যাতে যদি কোন সুখ থাকে, তবে এমনই সমজদারের কাছে ব্যাখ্যা করে প্রকৃত আনন্দ হয় । দেখলে তা আমার কথাগুলি কেমন চুক্তির সহিত গদগদ ভাবে বাবাজি শুনলেন ! এৰ প্রকৃতই শাস্ত্রের অর্থবোধ আছে, তা না হলে কি এমন মনোযোগের সঙ্গে কেউ শুনতে পারে।” রামহরি তন্তুবায়ু বল্লে-“দু একবার বাংবাজির, চোখে জল এসেছিল”। কৃষ্ণপদ ফুলটি একবার একবার বাবাজি বুকে চেপে ধরে ছিলেন, তখন প্রকৃতই চোখের কোণে জল দেখা দিয়েছিল । তন্তুবায় সেই জল দেখে মনে করেছিল, গোসাইজির শাস্ত্র ব্যাখ্যা ভেতরে ভেতবে বাবাজিকে কাদিয়ে ছেড়েছে। অমনই লাফ মেরে গোসাই গালিচা হতে একহাত উচুতে উঠে তন্তুবায়কে বল্লেন, “সত্যিই চোখে জল দেখেছিলে ?” বামহরি হাত যোড় করে বল্লে “আপনার কাছে কি মিথা বলতে পারি ? হয় নয় পরাণ মণ্ডলকে জিজ্ঞাসা করুন।” প’ বাণ মণ্ডল বদলে “বুকে হাত চেপে বা বাজি সত্যই আপনায় <4{!খা শুনে ক:দছিলেন।” S