পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপারের অমালো রেসো গোসাইয়ের লম্বোেদরটা এমনই ভাবে দুলতে লাগল, যেন মনে হ’ল তিনি এই কথা শুনে আনন্দে নাচ-বার উদ্যোগ কচ্ছেন। তিনি বল্লেন—“মনে কর'না আমি তাকে বোকা বুঝিয়েছি। সব শাস্ত্ৰ জানেন, দুটি জায়গায় আমার কথাগুলি মনে আসছিল না।--তা বাতলিয়ে দিলেন।” গোসাই মনে কল্লেন —তার এতবড় পাণ্ডিত্যের কথােটা বাবাজি অবশ্যই কিশোর রায়ের কাছে তুলবেন । কিন্তু জোগাড় ঠিক চালাতে হবে। রোজ রোজ যাওয়া চাই। “আমার উপর তার ভক্তি জন্মেছে - কিন্তু এই ভক্তিকে বাচিয়ে রাখতে হবে । ক্রমশ: এই ভক্তি বড় করে তুলতে হবে।-কিশোর রায় রোজই যদি বালাজির মুখে আমার গুণকীৰ্ত্তন শোনেন, তা’ হলে একদিন হয়ত আমারই এ আশ্রমে এসে উপস্থিত হবেন ।” এই সংকল্প স্থির ক’র্বে গোসাইজি রোজ- সাধুবাবার সঙ্গে দুএক ঘণ্টা কাটিয়ে আসেন । বাবাজির সেই একই ভাব ! বৈশম্পায়ন বক্তা, জন্মেজয় শ্রোত। গোসাইজি শখের ঘােত আব্দুত কথা সকলই বিশ্বাস ক’রে উত্তেজিত ভাবে ব্যাখ্যা অ্যাওড়াইয়া যাচ্ছেন, বা বাজি অতিশয় মনোযোগের সঙ্গে সেগুলি শুনছেন, এবং বিদায় হওয়ার সময় গোসাইজিব পাণ্ডিত্যের প্ৰশংসা করে। প্ৰণাম কচ্ছেন । -BO