পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ܠ ) উচভয়ের মধ্যে রোজই প্ৰায় এরূপ দেখা সাক্ষাং হচ্ছে। রেমো গোঁসাই ভাবছেন,--তঁার এতবড় পাণ্ডিত্যের পরিচয় পেয়ে বাবাজি আর চুপ করে রন নাই, অবশ্য কিশোর রায়কে তঁর সম্বন্ধে অনেক কথাই বলেছেন, কিন্তু তিনি জোগাড় ছাড়াচেন না, এজন্য যাতায় তটা পূর্বের মতই চলেছে। এই ভাবে সাতদিন অতীত হ’লে গোসাইজির মনে একটা ধোকা এল। বাবাজি কি রকমের লোক ? তিনি নিজে তো তার পাণ্ডিত্যের ভাণ্ডার এই সাতদিন ব’কে ব’কে প্ৰায় ফুরিয়ে ফেলেছেন, তা ছাড়া কোন সভায় তিনি ৪ ঘণ্টাকাল অনর্গল বক্তগত ক'রে শ্রোতৃবৰ্গকে বিমোহিত করেছিলেন, তার এক বক্তৃতা শুনে ত্রিপুরাব মহারাজ তাকে সভা-পণ্ডিত করতে চেয়েছিলেন, শিষ্য-সেবকেরা তাকে সাক্ষাৎ ভগবান বলে মনে করে-- এইভাবে নিজের বিপুল দম্ভ শাস্ত্ৰ ব্যাখ্যার মধ্যে মধ্যে প্রকাশ, ক’রে বাবজিকে তাক লাগাবার চেষ্টা পেয়েছেন। কিন্তু সাধুবাবা তা নিজের কথা একটিবার ও বলেন নাই । রাজাবাব খে। তার কুঁড়ে ঘরে এসেছেন-সে কথাটি পয্যন্ত তিনি মুখ দিয়ে বার করেন নাই । গোসাই, জির বাড়ীতে এরূপ ব্যাপার হ’লে তিনি ত একমাস পৰ্য্যন্ত নিজের জয়ভঙ্কা নিজে বাজাতেন----পরের বলিব| 1 অবকাশ দিতেন না : সাধুবাবার ষশঃ তো সকলেই কীৰ্ত্তন করে, কিন্তু তাকে প্রশংসা করলে তিনি অতিশষ লাজ্জত হন, সে কথা বন্ধ করার জন্য অপর কথা পাড়েন। আর সাধু বাবা যে শাস্ত্র খুব ভাল জানেন-ত গোঁসাই মনে মনে বুঝেছেন-যেখানে ব্যাখ্যা করতে খেয়ে তিনি পূলে বসেন, ধাবাজি বিনীতভাবে সেটি বলে দেন। O)