পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যদি মত থাকে। তবে আমি দরের কথা বলতে পারি ! তোমার বৌদিদি বলছিলেন, “অপর যায়গায় যা পাবে, তার চেয়ে কিছু বেশী দিয়ে বাগানটা রাখতে। কারণ এই উপলক্ষে তোমাকে কিছু সাহায্য করা হলেও কোন লোকসান নাই, তুমি এক মায়ের পেটের ভাই বট তো ? তবে দরটা যদি নিতান্ত বেশী বল, তবে পেরে উঠ বা না ।” আট বিঘা জুমির দর সেখানে ৫/৬ হাজার টাকা। তবে অবশ্য আভের ছবির প্রাচীর ও ফুল, পল্লব এবং ছবিতে সজ্জিত এমন সুন্দর বাগানটি কেউ খেয়ালের উপর ১০ ১১ হাজার টাকাও দিতে পারে, এর বেশী কিছুতেই নয়। হৃদয়েশীবাবু তার ভ্রাতার মুখটি একবার বন্ধ ক’রে মুণ্ডুটা ঘুরিয়ে দেবার মতলবে উত্তর দেবার পূর্বেই বলে ফেলেন, “যাক আমি ১ ০০ ০০ টাকা তোমায় দেব ভাই ! এত দীর কেউ দেবে না, তুমি মায়ের পেটের ভাই বলে—তোমাকে সাহায্য করার আশায় এই দর বল্লম, তুমি আমার স্নেহ-প্রবণতা এতে ক’রে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছ।” অবশ্য এত দীর বে' পাড়াগায়ে কেউ দেবে মা এ কথা ঠিক, কিন্তু ঐ বাগান দেখিয়ে দেবেশ বছরে প্রায় হাজার টাকা অৰ্জন করেন, অপর কেউ কিনলে এ আয়টা থাকলে কিনা সন্দেহ । চট্ট করে হৃদয়ের্শের মাথায় এই কথাটা এল, কিন্তু তিনি ভাবলেন, “বাগানটা হাতে যেদিন পাব, তার পরদিনই বাড়ীতে এক বিগ্ৰহ স্থাপন করে, বাগানটায় আরও টাকা ঢেলে আয় বাড়িয়ে ফেলব।” দেবেশ এবার দৃঢ় ও পরিষ্কার সুরে বল্লেন, “দাদা এ বাগান আমি বিক্রয় করুব না-আমার কণ্ঠে যতদিন প্ৰাণ ততদিন নয়। “রাধামাধব’ তোমার ও পৈতৃক ভিটায় চিরকালের বিগ্ৰহ, তার তাদের আমার উপর। আমি উপোশ করে স্বীপুত্ৰ সহ মরি, কিম্বা যে কষ্টই পাই না। Noo