পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( Soo ) হৃদয়েশের একজন পরামর্শদাতা মোসাহেব ছিলেন, তা'র নাম রতনকুমার বাড়ুৰ্য্যে। ইনি সিন্দুর তলার এক ব্রাহ্মণের কন্যাকে বিপাত ক'রে শ্বশুর বাড়ীতে থাকতেন । তাহার একটা দেশ আছে, সেখানে বিস্তব জমি আছেএকথা সকলে তার মুখেই শুনতে পোত ; সেই জমিজমার স্থায় থেকে আদপয়সা ও তিনি কোন দিন পেয়েছেন, একথা কেউ বলতে পারে না । লেখাপড়া কিছুই শেখ হ’ল না। একটা মুদি দোকানব দাওয়ায় চট বিছিয়ে দিনটা সেইখানে কাটিয়ে দিতেন—খুব অধ্যবসায় ছিল, তা না হ’লে যুক্তাক্ষর না শিখেই বেশ নাকি সুরে বটতলার বামায়ণ পড়তে সুরু কল্লেন কি করে ? শ্রোতৃবর্গের কর্ণকূক্তর বিদীর্ণ হয়ে তা বা পরিশ্রান্ত হয়ে পড়লেও রতনের কোন ক্লাস্তি হ’ত না, বা পড়া থাম ত না । তখন তার বয়স বিশ, প্ৰভিটি অক্ষর বানান ক'রে প’ড়ে পেতেন, কিন্তু নাকি সুরটি বজায় রেখে । কখনও কখমও একটু বিশ্রামের ইচ্ছ) : 'লৈ চেচিয়ে গাইতেন, “এতদিন পরে ঘরে এলিরে রাম-ধন” এবং গাওয়াব সময় একটি হাত দিয়ে বাক্স বাজাতেন। মুদি দোকানেব কাছে এক জন কবিরাজ থাকতেন, তঁার একটি মাত্র ছাত্র ছিল । ছাত্রটি হঠাৎ পীড়ি তা হ’য়ে বাড়ী চলে যায়, তখন রতনকুমারকে তিনি তঁর ডিসপেন্সারীতে নিয়ে আসেন। এবং ঔষধ তৈরী করার কাজে লাগিয়ে দেন। রতন এক হাতে বাড়ী তৈরী করুত, আর এক হাতে গা চুলকা ৩-এবং অবিরাম নাকি সুরে গাইতে থাকত “এতদিনের পরে ঘরে এলিরে রামধন। মা ব'লে ডাকেন। ভরত মুখ দেখেন। শত্ৰুঘন"। যদিও তার বেসুরে চীৎকার কবিরাজ ম'শাই كهNSO