পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९ड्e>ाटझन्झ सेटेपटिटना মুখ মনে পড়লে যে আমারও একথা বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয় না।” দেবেশ মাথা নীচু ক’রে হাত দুখানি দিয়ে মাথা চেপে ধরে ব’সে পড়লেন। আজ বাবা জি-গোসাইজির বাড়ীতে গিয়েছেন-আসবেন না । রাত্রে বাগানের খোঁজ খবর দেবেশকে নিতে হবে, সবে রাত্ৰি ৮টা হয়েছে । দেবেশ মনে মনে বাগানটিকে যুক্ত করে প্রণাম কল্লেন, “হে আমার কৃষ্ণলীলার নিকেতন, আমার আনন্দের উৎস, আজ তোমাকে , রাখতে পারুলুম মা ! বশিষ্ঠের আশ্রম হতে কপিলা-গাভীকে বিশ্বামিত্র জোর ক’রে নিয়েছিলেন- আজ বশিষ্ঠের মনের অবস্থা আমার । বাবাজি পর হয়েছেন, ঠাকুরদাদা দাদার দিকে টানছেন—স্ত্রী পুত্র বাবাজি তোমার দিকে টেনে কথা! বলছে, আজ আমার কে আছে ? যদি কেউ থােক, তবে সহায় হও,— আমি আজ একক ; আমি আমার নন্দনকানন হ’তে বিতাড়ি ত— আমি আত্মহত্যা ক’রে মরব। এই আমার সাধের স্থান হ’তে কুকুর বেড়ালের মত তড়িত ও বান্ধবর্তন সহানুভূতি শূন্য হয়ে ঘুরে বেড়ািব-তা হবে না, এইখানেই আত্মহত্যা করে । মরব। আমি মরলে পৰ্ব্ব এই স্নকল ফুলের নিশ্বাস ঘুমার গায়ে পড়বে, তাতেই আমি স্বৰ্গলাভ করুন। নববৃন্দাবন' হ'তে তাড়িত ঠায়ে “আমি প্রাণ রাখতে চাই না ।” তারপর মনে পড়ল, কতবার বৃষ্টি মাথায় ক’রে তিনি কাদা ছেনে বসে ব'সে চারা গুলি পুতেছেন, গভীর বনে ঢুকে পাশ কেটেছেন, একবার গোখরায় কামড়িয়েছিল। আর কি ? বাশের ছোট ছোট বেড়ার অন্দরমহলে তার কুসুমকলিকাগুলি ফুটুতে দেখে প্ৰাণে কত পুসী হ’য়েছেন। ঢাকা জেলার সাভার গ্রামে “কৃষ্ণপদ” ফুলের চারা আনতে নিজে গিয়েছিলেন। ভাদ্র মাসে ধলেশ্বরীর বিপুল ঢেউয়ে নৌকাখানি ডুবু ডুবু হ’য়ে ছিল, ফতুল্লার বিখ্যাত সরু ধানের চিড়া সঙ্গে ছিল, ভাত দুদিন জোটেনি, সেই 42