পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮৮

\SeCSS, SICS র্তার উপর একি অমানুষী অত্যাচার ! প্ৰাণনাথ মণ্ডল চাইেত যোড় করে বল্লে, “প্ৰভু যদি জমিদারকে শাস্তি দিতে হয়, আমরা পেছপা হব না , গুরুজি সাক্ষাৎ ভগবান—আপনি যা আদেশ করবেন, আমরা প্ৰাণ দিয়ে তা পালন করব ।” গোসাঁই ডান হাতেব অনামিকা ও বৃদ্ধাঙ্গুলী এই দুইটি দ্বারা যৎকিঞ্চিৎ নস্য গ্ৰহণ পূর্বক নাসারান্ধে, নিক্ষেপ করে বল্লেন, “তোমরা ফোস করার গল্প’জান না ?’ মণ্ডল বল্লে• • •“আজ্ঞে সে আবাব কি ?” গুরুজি হাসির চচ্ছলে দন্ত পংক্তি বার কবে বল্লেন ;- “বলছি শোন, একটা বড় মাঠে একটি গোখরো সাপ, থাকতো বড় একটা অশ্বখ গাছের নীচে তার বেশ একটা মস্ত বড় গৰ্ত্ত ছিল । গোখরোটা ভয়ানক দুষ্ট ছিল, সে যাকে দেখতে তাকেই কামাড়াতে যেত। বছরের পাচ : ছয়মাসে তার দান্তেব্য বিষে দুই একশ লোক মারা পড়ত, তা ছাড়া গরু বাছুর গুলিকে ও বাদ দিত না । সে এত বড় রাগী ছিল যে কোন পাখীর ছায়া যদি তার উপরে পড়েছে, অমনি ফোস করে ফন উঠিয়ে শুধু , ল্যাজটুকুর একটা ছোট অংশ মাটীতে রেখে সব খানি শরীর নিয়ে দাড়িয়ে উদ্ধাদিকে সেই পাখীটাকে ধরতে পারে কিনা সেই চেষ্টা করেছে । “বহু লোক একত্র হয়ে লাঠী সড়কী প্রভৃতি নিয়ে তাকে মারুতে, গিয়েছে, কিন্তু সে বিদ্যুৎ বেগে লুকিয়ে পড়ে, বিদ্যুৎ বেগে নিরীহ নিরস্তু ব্যক্তি বেছে নিয়ে কামড়িয়ে চলে যায় । বহুবার ব্যৰ্থকাম হয়ে লোকজন তাকে মারার আশা ছেড়ে দিলে এবং সঙ্গে সঙ্গে সেই মাঠের পথে যাতায় তা ও বন্ধ করে ফেলে । নিধিরাম পোদার মাটিতে পড়ে প্ৰণাম জানিয়ে বল্লে, “আজ্ঞে আমার কাছে এমন ঔষধ আছে, প্ৰভু যদি পরখ দেখতে চান, tvo