পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(Sty) হৃদয়েশ ও রতন কবিরাজ গোসাইজির আদেশের কথা লোক মুখে শুনেছেন। মোকৰ্দমাটার তারিখ বদলাবার জন্য আদালতে উকিল আরজি করেছিলেন "। আরজি মঞ্জুর হয়েছে। আর একমাস পরে দিন পড়েছে । রতন কবিরাজের সঙ্গে পরামর্শ করে হৃদয়েশ মোকৰ্দমাট উঠিয়ে নেওয়া উচিত মনে করলেন । বাড়ীতে দুধ মাছ সব বন্ধ, তার উপায় ছোটলোকপ্রজাদের যেরূপ ভাব,তারা কোন দিন বাড়ী আক্রমন করে তার ঠিক নাই তারপর ব্রাহ্মণ সাক্ষী যারা ঘুষ খেয়েছিলেন, তারাও সাক্ষ্য দিতে অনিচ্ছুক হলেন, বল্লেন ছোট-লোকের যেরূপ বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে, আপনি বড় লোক হয়েই ভয় পাচ্ছেন, আমরা গরীব,আমাদের গলা টিপে মারলে কে দেখবে ? রতন কবিরাজ বলে, “পুলিশ ফৌজ নিয়ে এসে তাদের দ্বারা এ ছোটলোকগুলিকে আচ্ছা রকমের শিক্ষা দেওয়া যায়। ম্যাজিষ্ট্রেটকে এদের কথা বলে বেশ প্রতিকার দু’তে পারে। ইভানস সাহেব খুব তেজস্বী, আপনি গিয়ে বল্লেই আশ্বারোহী গোরা সৈন্যের জন্য তার ক'রে বসবেন । কিন্তু এই ব্যাপবের আর একটা দিক আছে। শুনেছি, এখন রেমো গোসাই বাবাজিকে গুরুর ন্যায় মান্য করে, হয়ত বাবাজির অনুরোধেই সে এই সকল কাণ্ড করছে। বাবাজির সঙ্গে কিশোর রায়ের বিশেষ ভাব আছে, কিশোর রায় দেবেশকেও স্নেহের চক্ষে দেখেন, এবং বাগানটি যে তার —তা’ বিলক্ষণ জানেন । এখন সন্ধান করে সকল কথা জানতে পারলে প্রজাদের উপর দাজআপনার অত্যাচারের কথা শুনলে তিনি আপনার নিশ্চয়ই বিপক্ষ মত হবেন, --আপনি এতে কি কোন বিপদ দেখছেন না ?” طS