পাতা:ওপারের কথা.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R মাগো-হাবাতে ছেলেকে কি অষন ক'রে বাড়িয়ে লিখতে হয় মা ? তা স্নেহের এমনি ধারাই বটে। ব’লতে কি মা, তোর চিঠি পড়তে প’ড়তে এ পোড়া চােখে নোনা জল এসেছিল। সঙ্গে সঙ্গে পোড়া প্ৰাণে সাধও হয়েছিল যে, “মা”-“মা” ক’রে পা” জড়ায়ে কাদি, কঁাদি—প্রাণভরে কঁাদি—যদি ছাৱ মনের ময়লাগুলো ধুয়ে পুছে যায়। মাগো, শ্ৰীগুরুর কৃপা অহরহ ঝ’বৃচে ও কত শত লোকের আশীৰ্ব্বাদ এ হাবাতে পাচ্ছে ; তবুও মা, সময়ে সময়ে সেই পাদপদ্ম ভুলে যাই,-তবুও মা,ছার ইহজগতের সুখের কথা প্ৰাণে জাগে। তাই মা, সদাই ভয়ে ভয়ে থাকতে হ’য়েছে ! তাই মা,-সাধ হয় বলি, বলি—সকলের সামনে বলি-সকলের পদব্রজ মাথায় ধারণ ক’রে,--না, না, সৰ্ব্বাঙ্গে মেখে,-তাও নয়,- মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে,-তাও নয়,—সকলের কাছে না কথাৎ দিয়ে বলি,-ওগো তোমরা একটুখানি-ত নহয়—একবারকেবল মাত্র একবার-তার কাছে—সেই তার কােেছ-এ পাষণ্ডের মা-মী-জননী, মা গৰ্ভধারিণীর কাছে,--বটে, বটে,- বাবা-বাবা-জন্মদাতার কাছো-ঠিক, ঠিক,-প্ৰাণনাথ—প্ৰাণসখা-প্ৰাণবল্লতের কাছে—তার শ্ৰীপাদপদ্মে—ষ্ঠার শ্ৰীচরণ* সরোজে-বল, বল-প্ৰাণ খুলে বল-এ মুখের যাক, যাক,- চিরদিনের তরে,-অনন্তকালের জন্যে স্বাৰু-তিনি ছাড়া এ ছার বুকে-এ পোড়া মনে, ঘা মাঝে মাৰে জাগে, জাগে