পাতা:ওপারের কথা.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Jo মিশ খাওয়াই যখন বিধাতার বিধান, তখন সত্যস্বরূপ বা সত্যস্বরূপিণীর প্রসাদ আসত্যের বা কুকৰ্ম্মের দ্বারা পাওয়া সম্ভব কি ? এইপ্ৰকার কাৰ্য্য করার জন্য সেই সকল জীবের হৃদয়তন্ত্রীগুলি ‘হায় হায়’ ধ্বনি ঝঙ্কারিত করিবে তাহাতে বিচিত্ৰত কি ! যাহারা পুস্তক পাঠ ধৰ্ম্মজীবন লাভের একমাত্র বা প্রধান পন্থা নিৰ্দ্ধারণ করিয়াছেন, তাহারা কি অবগত নহেন, যে শ্ৰীবুদ্ধ, শ্ৰীষীশু, মহম্মদ, নানক, কবীর, তুকারাম, সুরদাস, রামপ্রসাদ, শ্ৰীরামকৃষ্ণ, দুর্গাচরণ নাগ প্রভৃতি মহাত্মাগণ পুস্তক পাঠের ফল নহেন, বরং প্রত্যেকেই একমাত্ৰ সাধনের প্রকৃষ্ট পরিণাম । ঈর্ষা, কুৎসা, দম্ভ, ক্ৰোধ, লোভ, অধৈৰ্য্য, উচ্ছাস, অসত্য, আলস্য প্রভৃতি যাবতীয় অগুণ হইতে নিজ মনকে ক্রমশঃ বিশুদ্ধ করিলে ও জাগতিক বাসনা ও ভাবনা হইতে মনকে দিনের দিন যুক্ত করিলে সেই মনই আত্মাভাবাপন্ন হইয়া থাকে। এ অবস্থায় মন জ্ঞানে, প্রেমে ও শক্তিতে বিভূষিত হইয়া অভাব-অশান্তিসমূহকে বিমোচন করিতে সক্ষম হয়। এই প্রকার মানবিশিষ্ট জীব দেহাবসানে হাসিতে খেলিতে শান্তিাধামে ধাবিত হয়। এই কথাগুলি অতীব সহজ, সরল, সরস ও সজীব ভাষায় পত্রের ভিতর দিয়া মুমুক্ষুজীবের বিশেষতঃ অল্পশিক্ষিত রমণীকুলের জন্য লিখিত হইয়াছিল এক্ষণে সেইগুলিই “ওপারের কথা’য়ু প্ৰকাশিত হইল । ভাষার মাধুৰ্য্য ও প্রাঞ্জলতা এবং লেখকের সাধনপ্রসূত মস্তিষ্ক ও লেখনী নিঃসৃত সহজসাধ্য পন্থাগুলি অনেক নিত্নস ও