পাতা:ওপারের কথা.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপারের কথা , " ᏔaᏄ সোহাগিণী’, ‘রূপসী’ ও আরো কত কি কথা ব’লে তার উপর । নিজের ঝাল। ঝাড়তেন । শ্ৰী রাধা কিন্তু কোন উত্তর না ক’রে প্রথম প্রথম চােখের জলে ভাসতে ভাসতে সেখান হ’তে পিট্টন দিতেন। তারপর, বুকটাকে শক্ত ক’রে কোন কথা প্ৰাণে গাথ- তেন না। ঘরে জটিলা-কুটিলা আর বাইরে চন্দ্ৰাবলী ! শ্ৰীকৃষ্ণকে পেতে সাম্ৰ পুষিলে এত অজালাই সন”ইতে হয়। শ্ৰীহুৰা প্ৰাৱ পেছনে লেগে যখন কিছু ফল ফেলুল না, তখন চন্দ্রাবলীর রাগটা শ্ৰীকৃষ্ণের ঘাড়ে পড়লো। কিন্তু শ্ৰীকৃষ্ণের সঙ্গে দেখা-শোনা হওয়া মহা ব্যাপার। মানুষত আশার আশায় প্ৰাণ ধরে ; সেইজন্যে চন্দ্রাবলীও দিনের দিন নিজের কুঞ্জের দ্বারে দাড়িয়ে থাকে,-ঠিক সেই সময়, যখন কৃষ্ণচন্দ্ৰ শ্ৰী রাধার সঙ্গে মিলনের জন্যে-কদমতলায় যান। শ্ৰীকৃষ্ণ চন্দ্রাবলীর মনোভাব জানতে পেয়ে সে রাস্তা ছেড়ে অন্য পথ দিয়ে কদমতলায় যেতে লাগলেন। এই ভাবে কিছুদিন গেলে চন্দ্রাবলী নিরাশ হ’য়ে ও আর বাহিরে না দাড়িয়ে, চোখের জলে ভাসতে লাগলো। তখন একদিন ‘রস- | রাজা চন্দ্রাবলীর কুঞ্জে নিজেই দেখা দিলেন। চন্দ্রাবলী আকাশের চাদ হাতে পেয়েও অভিমানের খাতিরে দু’চার কথা খুব শুনিয়ে দিলে ; শ্ৰীকৃষ্ণ কিন্তু তার উত্তরে নিজেরই দোষ স্বীকার। ক’বৃলেন। তাতে কি অভিমানিনীর অভিমান শানে! শেষে চন্দ্রাবলী এ কথা সে কথার পxনিজের গুণপনার কথা বিলক্ষণ আউড়ে, রাধার প্রতি শ্ৰীকৃষ্ণের এত টান কেন সেই কথা