পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮ ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত। তাহাদিগের উপর আসিয়া পড়িলেন। ইংরাজ-সৈন্ত দুই ভাগে বিভক্ত হইয়া দুই দিক হইতে দুগ আক্রমণ করিল । সহস্র সৈন্য পিউয়ার্ডের অধীনে ও পঞ্চশত সৈন্য সার আমের ডি, ভ্যালেন সের অধীনে ছিল। দুই দিক হইতেই আক্রমণ প্রতিহত হইল। এই আক্রমণে অসংখ্য ইংরাজসৈন্য ধরাশায়ী হইল। অবশেষে ইংরাজ সেনাপতি দুগ অবরােধ করিতে সঙ্কল্প করিয়া অষ্টশ সৈন্য লইয়া সমস্ত বন ঘিরিয়া ফেলিলেন এবং অবিরাম দুগ আক্রমণ করিবার জন্য সপ্তশত সৈন্যসহ ভ্যালেন্সকে রাখিয়া গেলেন। এবং আশা দিলেন যে, যদি তিনি ওয়ালেসূকে ধৃত করিতে পারেন, এওয়ার্ড তাহাকে ফাইফের আরব করিবেন। ইংরাজ সেনাপতিদ্বয়ের অভিপ্রায় বুঝিতে পারিয়া ওয়ালেস্ ফোর্ড ও লঙ ভিলের হস্তে দুর্গরক্ষার ভার দিয়া ৪০ জন মাত্র সৈন্য দুর্গে রাখিয়া অবশিষ্ট যাইট, জন সৈন্য লইয়া সিউয়ার্ডের সম্মুখীন হইতে চলিলেন। সিউয়ার্ড উপস্থিত হইতে না হইতেই তাহারা অগ্রে গিয়া একটী বধের পার্শ্বে বড় বড় ঘাসের মধ্যে লুক্কায়িত হইয়া রহিলেন। ইংরাজেরা তাহাদিগকে টের পাইয়া ‘মার! মার।' শব্দে তাহাদিগের উপর আসিয়া পড়িল । কিন্তু স্বদেশের জন্য উৎসর্গীকৃত প্রাণ বীরের দেহ দেবদত্ত-কধুক-রক্ষিত। এই জন্য সেই অল্পসংখ্যক বীর সেই প্রচণ্ড ইংরাজ-বাহিনীর গতি প্রতিহত করিতে সমর্থ হইলেন। বজ্রমুষ্টিতে অসি ধারণ করিয়া টেরা অসংখ্য ইংরাজকে শমন-সদনে প্রেরণ করিলেন। ইংরাজসেনা আর অগ্রসর হইতে সাহস করিল না ; স্তম্ভিত হইয়া চিত্রাপিতের ন্যায় দাড়াইয়া রহিল। সিউয়ার্ড এই অল্পসংখ্যক স্কচ বীর কিরূপে অসংখ্য ইংরাজসৈন্যের গতি প্রতিহত করিলা ভাবিয়া চমকিত হইলেন। তখন সিউয়ার্ড দুর্গ আক্রমণের শেষ চেষ্টা করিতে কৃতসঙ্কল্প হইলেন। কিন্তু তাহাতে বিপরীত ফল ফলিল। তিনি সসৈন্য দুগাভিমুখে ধাবিত হইলে স্কটের। এরূপ প্রচণ্ড বেগে তাহাকে আক্রমণ করিল যে তাহাকে রণস্থল পরিত্যাগ করিয়া