পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০০ | ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত। . প্রত্যুষে স্কটের সেন্ট আণ্ড অভিমুখে যাত্রা করিলেন। তথাকার ইংরাজ বিসপ, তাড়িত হইয়া সমুদ্রপথে ইংলণ্ডে প্রস্থান করিলেন। তাহার পর তাহাবা কুপার দুর্গাভিমুখে যাত্রা করিলেন। তথায় কিছুকাল অবস্থিতি করিয়া দুর্গ উন্মলিত করিয়া চলিয়া গেলেন। | ১২৯৮ খ্রীষ্টাব্দের ১২ই জুন এই যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে সৰ্বশুদ্ধ ১৫৮ জন ইংরাজ হত হন। সার আলডােমর ও সার জন সিউয়ার্ড তাহা: দিগের মধ্যে প্রধান। এই ব্যাক আয়রন সাইড যুদ্ধে স্কটের সবিশেষ বীরত্ব প্রদর্শন করিয়াছিলেন। চারি, পাচ, গুণ ইংরাজ সৈন্যের সম্মুখীন হইয়াও তাহার বিন্দুমাত্র ভীত বা বিচলিত হন নাই। বার বার ইর গণ কর্তৃক আক্রান্ত হইলেন; বার বার তাহাদিগের আক্রমণ প্রতিহত করিলেন। অবশেষে তাহাদিগের অতিমানুষ বীরত্বে বিগলিত হইয়া জয়লক্ষ্মী তাহাদিগের অঙ্কশায়িনী হইলেন। দুই জন স্কট, সেনানায়ক এই যুদ্ধে হত হন। ফাইফে সেরিফ সার ডঙ্কান ব্যাফোর ও সারক্রাইষ্টোফর সীট এবং সার জন্ গ্ৰেহাম্ আহত হন। এই যুদ্ধে র্যামজে, গুথরী ও বিসে, অসাধারণ বিক্রম প্রকাশ করিয়াছিলেন। ইহা সামান্য আরণ্য সমর বটে, কিন্তু ইহাতে স্কট বীরগণের যশসৌরভ সৰ্ব্বত্র বিকীরিত হইল। সিউয়ার্ডের মৃত্যু সংবাদ শুনিয়া কাইফ,স্থিত সমস্ত ইংরাজগণ ফাইফ ছাড়িয়া পলায়ন করিল। কেবল ললে ভেনের বারিকে কতিপয়মাত্র ইংরাজ সৈন্য ছিল। সেই বারিক চতুর্দিকে জলবেষ্টিত বলিয়া তাহাব। ভাবিয়াছিল, নিরাপদে থাকিতে পারিবে। কিন্তু অচিরকালমধ্যে তাহাদিগের সে ভ্রম বিদূরিত হইল। সমস্ত স্কুট, সৈন্য ক্যাবলে সমবেত হইয়া তথা হইতে “স্কটলস ওয়েল” নামক স্থানে আসিয়া ছাউনী করিল। রজনীতে আহারান্তে ওয়ালেস অাদশণাত্র সহচর সমভিব্যাহারে অজ্ঞাত ভাবে শিবির হইতে বহির্গত হইয়া বলেভেনের অভিমুখে